কপিলী কপিলী
কপিলী কপিলী
তই হৈ বাউলী
বাৰিষাত মাৰিলি ধান ।।
কপিলী কপিলী, গাভৰু ছোৱালী
চঞ্চলা নাই তোৰ মান ।
কপিলী কপিলী দেহাৰ ভাঁজে ভাঁজে
মিঠা যৌৱনৰে গান ।
কপিলী কপিলী, তইতো নাজান
তোৰ গাত কিমান শকতি ;
তইতো নেজান তোতেই লুকাই আছে
হেজাৰ সূৰুযৰে জ্যোতি।
কপিলী কপিলী পাগলী ছোৱালী
মানুহক কৰিবি ত্ৰাণ,
উমৰাংচুজনীও তোৰেই লগে লাগি
হ'ব চিৰ জ্যোতিষ্মান ।।
https://www.youtube.com/watch?v=zBuK98reZAk
সে অনেক অনেক অনেকদিন আগের কথা। দুপুরে ১টা বেজে দশ মিনিটে
১০ মিনিট “গ্রামোফোন রেকর্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীত”। শিলচর রেডিও থেকে। ব্যক্তিত্ব আনার
প্রয়াসে ঘোষকের কন্ঠ গম গম হতে হতে রবীন্দ্রসঙ্গীত হয়েযেতো “ড়বিন্ড্র-সংগীত”।
তারপরে সেই গলাদা’ই গলা ফুলিয়ে জানাতেন “এখোন গ্রামোফ্ন্ ড়েকড়ডে আধুনিক গান...” –
সেই আধুনিক গানের আসরেই শুনেছি গানটা। তারপরে আর শুনিনি। শিল্পী শক্তি ঠাকুর। গান “শ্যামলী
শ্যামলী সাঁওতালি নদীটি, আহা মরি মরি নাম ...” তারপর? মনেনেই। সুরটা আজো বাজে
কানে। - পরে শুনলাম মূল গানটি। অসমীয়া ভাষাতে। কথা ও সুর ভূপেন হাজারিকা। “কপিলী কপিলী ৰাংঢালী ছোৱালী মহিমা বুজাকে টান “
–
শ্যামলী নামের সত্যি কোনো সাঁওতাল নদী আচে কি’না
জানিনা তবে ভূগোলে এ’ত পড়েছি বহুবারঃ “ব্রহ্মপুত্র নদের অন্যতম উৎস কপিলি নদী ...”
– এই গান সেই কপিলী নদীকে নিয়েই। - হ্যাঁ,
এসবও মনেহয় অনেক অনেক অনেকদিন আগের
কথা। শক্তি ঠাকুর, ভূপেন হাজারিকা, নদী ... হায়, সেসন দূর – কতোদূর ...
আমার মেয়ে পাঁচ পারহয়ে পা দিয়েছে ছ’য়ে। তার জন্ম নগরে। তার
বেড়েওঠা নগরে। তবু কিকরে কেজানে ওর মনে গেঁথেগেলো ঐ গানটা। ঐ গানটাই। ভূপেন
হাজারিকার অসমীয়া গানের একটা রেকর্ড চালাচ্ছিলাম। “কপিলী কপিলী ...” ছাড়াও ছিল আরো
অনেকগুলো গান। তবু ওই গানের পাহাড়ি নদীর মতো সুরস্রোত তাকে নিলো ভাসিয়ে। গানটা
থামলে আমার কাছে এসে বল্লো “ আবার চালাও গানটা, আমি নাচব ...” আমি চালিয়ে দিলাম।
মেয়ে নাচতে লাগলো। স্বরচিত, তাৎক্ষণিকতায়। গান থামলো। মেয়ে বল্লো “আবার চালাও...”।
আবার গান। আবার নাচ। ... হঠাৎ মনেহলো – তাহলে কিছুইকি যায়না হারিয়ে? আমার মফস্বলি,
মেদুর শৈশবের ভালোলাগা গান নাহলে কিকরে আজো
কেড়েনেয় আমার নগরে জন্মানো শিশু কন্যাকে? সে অসমীয়া ভাষা জানেনা, বোঝেনা। তবু...
“কপিলি কপিলি’র বাংলা অনুবাদ “শ্যামলী শ্যামলী...” কে
করেছিলেন? ভূপেনের অন্য সব গানের অনুবাদক শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়’ই কি? জানিনা।
বাংলা লিরিকটাও মনেনেই। তাই আমার বাংলায় আমি আবার বেঁধে নিলাম ঐ গান – আমার মেয়ের
জন্যে আর ভূপেন হাজারিকার সম্মানে আর আমার মফস্বলি, মেদুর শৈশবের টানে ...
কপিলী কপিলী
রংগিনী মেয়েটি
মহিমা বোঝে কে তার?
কপিলী কপিলী
তুই হয়ে পাগলী
আষাঢ়ে ডোবালি ধান।
কপিলী কপিলী, রংগিনী যুবতী
চঞ্চলা, তাই অভিমান
কপিলী কপিলী দেহের ভাঁজে ভাঁজে
মিঠা যৌবনের গান।
কপিলী কপিলী,তুই ও জানিস, না’রে
ঢেউয়ে তোর কত শকতি -
তুই ও জানিস, না’রে তোরই এ অন্তরে
হাজার অরুণের জ্যোতি।
কপিলী কপিলী পাগলী যুবতী
মানবের তুই পরিত্রাণ
মরনশীলজনাও তোরই ঢেউয়ে ভেসে
হবে চিরজ্যোতিষ্মান।।
[ অসমীয়া লিরিকঃ কপিলী কপিলী
ৰাংঢালী ছোৱালী
মহিমা বুজাকে টান ।
ৰাংঢালী ছোৱালী
মহিমা বুজাকে টান ।
কপিলী কপিলী
তই হৈ বাউলী
বাৰিষাত মাৰিলি ধান ।।
কপিলী কপিলী, গাভৰু ছোৱালী
চঞ্চলা নাই তোৰ মান ।
কপিলী কপিলী দেহাৰ ভাঁজে ভাঁজে
মিঠা যৌৱনৰে গান ।
কপিলী কপিলী, তইতো নাজান
তোৰ গাত কিমান শকতি ;
তইতো নেজান তোতেই লুকাই আছে
হেজাৰ সূৰুযৰে জ্যোতি।
(সেয়ে) বিজ্ঞানী ডেকাটি, সাজি-কাচি ওলালে
লগত ওলালে হেজাৰ
মৃত্যুক নেওচি শ্ৰমিকো ওলালে
সাৱটি তোৰ দুয়ো পাৰ ।।
লগত ওলালে হেজাৰ
মৃত্যুক নেওচি শ্ৰমিকো ওলালে
সাৱটি তোৰ দুয়ো পাৰ ।।
কপিলী কপিলী পাগলী ছোৱালী
মানুহক কৰিবি ত্ৰাণ,
উমৰাংচুজনীও তোৰেই লগে লাগি
হ'ব চিৰ জ্যোতিষ্মান ।।
https://www.youtube.com/watch?v=zBuK98reZAk
]