পত্রলেখা
এবার নিজের নামে একখানা চিঠি লিখতে হবে;
ইমেইল মেসেজ নয় – শুভঙ্করী কালি ও কলমে।
জমির দলিল, চিঠি, শ্রাদ্ধ ও বিবাহ চিঠিতে
বেশ্যাবোনের কাছে “আইনত” যাওয়ার হোটেলে
এবং সর্ববিধ “দরকারি” দস্তাবেজে, নীচে,
বাধ্যতামূলক লেখা – “পার্মানেন্ট এড্রেস” আর পিন্ ,
যে চিঠি নিজের নামে – ঘুণাক্ষরে তার লেফাফাতে
অস্থায়ী ঠিকানা থাকবে? “কেয়ার অফ্” এ “হে ঈশ্বর” আর
সম্বোধনে লেখা থাকবে – “ ওহে, তুমি –
জন্মান্তের ঘাতক আমার” ... ? ...
ঠিকানা “অস্থায়ী” তাই ঐ চিঠি রি-ডাইরেক্ট্ হয়ে
উড়েযাবে নানাহাতে, নানারাতে, নানা অজুহাতে
বেশ্যাবোনের মতো – নানাদিন – নানা ডাকঘরে –
“স্থায়ী” ঠিকানার থেকে পলাতক আমি একা
শিয়াল ও কুত্তার সাথে ঝিঁঝিঁডাকা পথে নামলে পরে
চিঠির অক্ষরগুলি বিলুপ্ত কম্পাসহেন
আরেক মানচিত্র আঁকবে – অন্ধকারে – ঘুমের শিয়রে -