মাঠ
শেষহীন যে মাঠের নাম ওরা দিয়েছে আকাশ,
যার এক প্রান্তে তোমার বাড়ি
আরেক প্রান্তে আমার –
যেখানে রোদ করে, মেঘ ধরে
যেখানে বিষ্টির নামতা, গ্রীষ্মের রক্তচক্ষু
-যার এক প্রান্তে আমার বাড়ি
আরেক প্রান্তে তোমার ...
যাকে ওরা আকাশ বলে-
বলে শূন্য, ব্রহ্মান্ড, নীলিমা-
-তারা জানেনা যে
সে এক মাঠ, এক মাঠই শুধু-
ধুধু মাঠ। ঠিক যে রকমের মাঠে
বাঁশের গোলপোষ্ট ঝুলিয়ে
বাদ্লা দিনে ফুটবল খেলে ছেলেরা...
ঠিক যে রকমের মাঠ
পার হয়ে যেতে যেতে
ত্রিসন্ধ্যায় কেঁপে ওঠে আমের বোলের মতো বুক, কিশোরীর –
ওই মাঠ পার হয়ে প্রতিমাসে ঋতুরক্ষাহেতু
খোলাগায়ে আমার বাড়িতে আসো তুমি –
ওই মাঠ পারহয়ে
শ্রান্তিকর, ক্লান্তিকর কোনো কোনো দিন শেষ হলে
খোলা গায়ে আমি আসি তোমার বাড়িতে
আসি আমি ঘুম যেতে তোমার অতলে ...
আমাদের যাওয়া আর আসার এই রাস্তাটিকেই
ওরা বলে “ছায়াপথ”, ‘নীহারিকা” আর
তোমার নিবিড় অশ্রু
-যখন গভীরে তুমি
আনন্দে বিহ্বল –
ঝরে যায়।
ওরা বলে
“স্বাতী
নক্ষত্রের জল”।