প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Tuesday, June 28, 2016

নক্সীকাঁথা



নক্সীকাঁথা

বহুদিন হলো লিরিক লিখিনি
যাইনি তোমার বিতানে
প্রসূতি সদনে গিয়েছি; শ্মশানে
তুমি এসেছিলে না জেনে।

এখন শহর বাদলে মুখর
মাদলে মেতেছে মহাকাল
লিরিক কিশোরী এখন যুবতী
ছন্দে বেজেছে ইহকাল।

লিরিক-নদির উপরে সাঁকোটি-
মৃত্যু ও স্মৃতি দুই তীরে
ঘরে যাবে ব’লে যারা এসেছিল
ফিরে গেছে খেয়া না পেয়ে।

অন্ত্যমিলের দ্বন্দ্ব ঘুচেছে
ছন্দ-দরোজা খোলা আজ –
বিষ্টিতে ভেজা স্বপ্নেরা হলো
নক্সীকাঁথার কারুকাজ।

শিকল ভাঙ্গার মতন ছন্দ
ভেঙে ফেলা যায় পলকে?
কে বলে ছন্দ ছিলনা নোলকে,
নাভিতে, চূর্ণ অলকে?


দীপটির শিখা ম্লান কাঁপে হিম বাতাসে-
জলে ডোবা মাঠ ভেঙে একা ওই কে আসে?

কেউ আসেনা, কেউ আসেনি, তবুও প্রতীক্ষাতে
লিরিক একা প্রদীপ হয়ে জাগছে ঝড়ের রাতে...

একটা জীবন ফুরিয়ে এলো যেনবা এই সন্ধ্যাগমে
বৃষ্টিধারার মতন করে হিজলদলের অন্ধকারে...

যেন বা এই জীবন দিয়ে বোনার ছিল নক্সীকাঁথা –
যেন বা এই জীবন মানে এক গোধূলির বাদলগাথা।।

ঘুম ঘর