প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, August 7, 2016

“নিদ্‌ নাহি আঁখিপাতে”





“নিদ্‌ নাহি আঁখিপাতে”
“Insomnia. Homer. Taut sails.
I've read through half the list of ships:
This spun-out brood, this train of cranes
That once ascended over Hellas.

A wedge of cranes to foreign shores,-
Your kings' heads wreathed in spray,-
Where are you sailing? Were it not for Helen,
Achaeans, what would Troy have been to you?

The sea and Homer - love moves all.
Where should I turn? Here Homer is silent,
While the Black Sea clamors oratorically
And reaches my pillow with a heavy roar.”
Osip Mandelstam


১।
প্রতিটি রাত্রির প্রাপ্য ন্যায্য ঘুম থেকে
প্রতি রাত্রে আমি কিছু ঘুম
নিজ হাতে জমা রাখি আমার কফিনে।
ভয় হয় তোমরা এনে যত্ন করে কবরে শুইয়ে গেলে পরে
যদি ঘুম ভেঙে যায় তবে
কে আমাকে ওই দৃশ্যে ঘুম ভিক্ষা দেবে?

প্রতিটি রাত্রে তাই
আমার দুচোখে কিছু ঘুম কম পড়ে।

২।
অনিদ্রার ইস্টিশান থেকে
ল্যোকাল ট্রেনের মতো ঘুমগাড়ি গুলি
একে একে চলে যায়
পার হয়ে আমার প্ল্যাটফর্ম।
-উঠতে পারিনা আমি
ভিড় ঠেলে কোনো গাড়িতেই।
ফলতঃ সকল ছেলে যুদ্ধে চলে গেলে
কৌরব প্রাসাদে একা নিদ্রাহীন ধৃতরাষ্ট্রহেন
আকাশ, নক্ষত্র আর পেঁচাদের বলি
“ হে সঞ্জয় শব্দ দাও সে বাক্যটি লিখি
যে বাক্যের দেহ থেকে গর্ভঘ্রাণ মোছেনি এখনো...”

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে হতাহত বীরদের বিরাট তালিকা
অধ্যয়ন করি একা, হে ব্যাস, দ্বৈপায়ন ব্যাস,
অনিদ্রাব্যাধির ঘোরে নগ্ন মধ্যরাতে।
মধ্যপথে থেমে গিয়ে দেখি অশ্বমেধের খোঁড়া ঘোরা
সে’ও একা –নিদ্রাহীন- পারহয় অনেক দ্রাঘিমা –


দিগন্তে শকুন ওড়ে। ওড়ে মেঘ। শিমূলের তূলো।
বীরগুলি ধূলি ধুসরিত। তথাপিও মৃত্যু, লোভ
-না’কি কোনো নিয়তিরই নিভৃত ইঙ্গিতে
ছুটে যায় কেন্দ্রচ্যুত, লক্ষ বিরহিত?
দ্রৌপদীর যোনি ভিন্ন অন্য জয় কার আকাঙ্ক্ষিত?
-প্রশ্ন করি অন্ধকারে উপবিষ্ট দ্বৈপায়ন ব্যাসের নিকটে।
উত্তর আসেনা কিছু। প্রবল বৃষ্টির মতো
ঘুমের বর্ষণে বুঝি ভেসেছো তুমিও?
অতএব রাত্রি নিশ্চুপ?
অনিদ্রার অক্ষৌহিণী সেনা
আমাকে এ কুরুক্ষেত্র মাঠে
দেখাবে ম্যাজিকমন্ত্রে
ফিরে বিশ্বরূপ?

৪।
‘সোনা ঘুমালো। পাড়া জুড়ালো’।
মাঠ ঘাট শহর বন্দর আর
গণিকাভগিণীরাও ঘুমালো অঘোরে।
আমারও দু চোখে ঘুম
নিয়ে আসে নানাবিধ সন্ধি-প্রস্তাব।
ঘুমাইনা তবু আমি। শুধু ভয় লাগে
“সোনা ঘুমিয়েছে” তাই
অবশ্যই বর্গী আসবে দেশে –
আমিও ঘুমিয়ে পড়ি যদি
কে তাকে রসুন বুনে খাজনা এনে দেবে?

স্বপ্নের শালিধানগুলি
সময়-বুলবুলি এসে
কবে খেয়ে গেছে ...

ঘুম ঘর