এই
বাসা, ব্যালকনী ও এই চারাগাছ
“One ought not
have to care
So much as you
and I
Care when the birds come round the house”
Robert Frost, The Hill Wife (Loneliness)
-“আজকেও দুপুরবেলা এসে
পায়রাগুলো তছনছ করে রেখেগেছে
ব্যালকনির টব্গুলি,
ফুল, চারাগাছ”
-“তার মানে আরো
দু’এক জোড়া পায়রা দম্পতী
বাসা খুঁজছে
ডিম দেবে বলে।
আসতে দাও। তাড়িয়ে
দিয়োনা…”
-“তাড়িয়ে তো দিইনি
কখনো।
কিন্তু
এখন ভাবছি
এভাবে
নষ্ট করলে
ফুল,
চারাগাছ-
ব্যালকনিটা
মিলিদের মতো
নেট্
দিয়ে মুড়ে দিতে হবে । ”
-“দিতে
পারো। তবে ...”
-“বুঝেছি।
এমাসে যদি
টাকা
হাতে না থাকে তাহলে...”
-“টাকাটা
সমস্যা নয়...”
-“তবে
আর সমস্যা কিসের?”
-“যদি
নেট্ দিয়ে ঘিরে দাও, তবে
কোনো
পায়রা যুবক, যুবতী – কোনোও দম্পতী – পায়রাদের –
আসতে
পারবেনা আর
কোনোদিন
আমাদের
এ চিলতে ব্যালকনীতে।
টবে,
ফুলগাছে” –
-“সেজন্যেই
তো নেট্ দেওয়া ...”
-“কিন্তু
তারা না এলে’তো
এই
চিলতে ব্যালকনীও আর
ডানায়,
পালকে ভেসে
গ্রহান্তর
হবেনা কখনো ।
আর
কোনো পায়রাশিশুও
সদ্য
পাওয়া ডানার উল্লাসে
আকাশের
স্বপ্ন দেখাবেনা
টবে
বন্দী অমল কুঁড়িকে।
তারো
চেয়ে বড় কথা হল
আমাদের
এই বাসা
আর এই
চিলতে ব্যালকনী
যদি
কোনো অচেনা নিয়তি
প্রকৃতার্থে
দিয়ে থাকে
এইসব
পায়য়া দম্পতীকে-
-ডিম
ফুটাবার মত সূচ্যগ্র মেদিনী দেব –
-এই
শর্তে – তবে –
হয়তো
তাদের আসা
নেট্
দিয়ে বন্ধ করে দিলে
অচেনা
সে নিয়তিও এসে
একরাত্রে
নেট্ ছিঁড়ে
আমাদের
বানানো এ সংসারে ঢুকে
কেড়ে
নিয়ে চলেযাবে
এই
বাসা
এই চিলতে
ব্যালকনী ও
এইসব
ঘিরে থাকা
আমাদের
প্রিয় অহংকার ...
আমরা
কি সুনিশ্চিত
জেনেছি
বা জানবো কোনোদিন
এই
বাসা, ব্যালকনী ও এই চারাগাছ
তোমার-আমার
না’কি
অচেনা
আকাশ থেকে
গর্ভভারে
নেমে আসা
আকাঙ্ক্ষিত
পায়রা মাতার?...”