‘কথা অমৃতসমান’
পরিষ্বজ্যৈব গান্ধারী কৃষ্ণাং কমললোচনাম্।
পুত্রাণাং মম পাঞ্চালী মৃত্যুরেবেত্যমন্যত॥
[ 1-227-4, 1.227.
অধ্যায়ঃ 227, ব্যাস-মহাভারত ]
“পরিষ্বজ্যৈব” কি “
পরিষ্ব परिष f.pariSad council” থেকে এসেছে? আর ‘মৃত্যুরেবেত্যমন্যত’র সন্ধিবিচ্ছেদও সঠিক করতে
পারিনি মনেহয় ... তথাপি সামান্য পুঁথিপত্র ঘেঁটে মনেহল এই পংক্তিগুলির
ভাবানুবাদ হয়তো এরকম হতেপারেঃ
কমললোচনা কৃষ্ণাকে আলিঙ্গনমাত্র গান্ধারীর অনুভব হল
এ যেন তাঁর নিজপুত্রদের মৃত্যুরূপিণী এক প্রতিমা।
আশ্চর্য এই নয় যে,
রাজশেখর বসু’র ছাঁটা ‘মহাভারতে’ গান্ধারীর এই অনুভুতি, মুহুর্তের, উল্লেখ নেই। আশ্চর্য এই,
যে, কাশীরামদাসেরও মনেহয়নি এই অনুভুতিটির নিরিখে যে উন্মোচিত
হয় গান্ধারী চরিত্রের আরেক আশ্চর্য চক্রবাল। স্বয়ম্বরান্তে দ্রৌপদীসহ
পান্ডবের হস্তিনায় আগমনপর্বে গান্ধারী-দ্রৌপদীর সাক্ষাৎ-দৃশ্য কাশীরামদাসও সেড়েছেন
সংক্ষেপেঃ
কুন্তীসহ
অন্তঃপুরে গিয়া যাজ্ঞসেনী।
একে এক সম্ভাষেন কৌরব-রমনী।।
একে এক সম্ভাষেন কৌরব-রমনী।।
[ ১১৪. হস্তিনায় পাণ্ডবগণকে আনিতে বিদুরের পাঞ্চালে গমন, কাশীরামদাস ]
এই মারাত্মক
উন্মোচনের কথা লক্ষ্য করেননি স্বয়ং কালীপ্রসন্ন সিংহ। সিদ্ধান্তবাগীশের অনুবাদের
এই পর্বটি হাতে পাইনি। তাই বলতে পারছিনা। তবে গান্ধারীর এই মুহুর্ত-অনুভব এবং তাৎপর্য
যাঁর নজর এড়ায়না তিনি নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ী। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, কথা অমৃতসমান, চতুর্থ খন্ড, অধ্যায় ১৮৬
হ্যাঁ, এই সকল সূক্ষ
সূত্রগুলির নিমিত্তই, বারবার, আমাদের
যেতে হয়, যেতে হবে, নৃসিংহপ্রসাদ
ভাদুড়ী’র কাছে, তাঁর ‘কথা অমৃতসমান’ এর কাছে।