“ঝিল্লী
যেমন শালের বনে ...”
সপ্তর্ষি
বিশ্বাস
১।
"দেবতারে
প্রিয় করি,
প্রিয়েরে
দেবতা
" -
তাহলে
আদতে কি 'দেবতা'
আর
'প্রিয়'
বা
'প্রিয়ে'
ভিন্ন?
তাই
কি আমাদের 'করে
নিতে হয়'
"দেবতারে
প্রিয়” কিংবা “প্রিয়েরে দেবতা
"?
আদতে,
তাহলে,
' দেবতা'
বলে
কিছু আমার অন্তর্গত জীবনদেবতার
বাহিরে রয়েছে কি?
-
সেই
কবে,
সেই
“সোনার তরী” পর্বে লিখেছিলেন
রবীন্দ্রনাথ আর তার পর থেকে
অদ্যাপি এই বাক্যাংশটি সঠিকে,
বেঠিকে,
দরকারে,
অদরকারে
'ব্যবহৃত
হতে হতে,
ব্যবহৃত
হতে হতে',
অবশ্যই
“শূয়োরের মাংস হয়েগেছে “।
তথাপিও,
পংক্তিটিকে
ঘিরে যে আন্দোলন জেগে উঠলো
মর্মে তার হেতু অন্য কিছু
কবিতা,
অন্য
কিছু পংক্তি। ওই অন্য কবিতাগুলি,
পংক্তিগুলি
যদিও কোনো দেবতাকে নিবেদিত
নয়,
বরং
রক্তমাংসের যে মানুষ -
যে
মানুষ হিসাবে ষড়রিপু পীড়িত,
যাকে
“সন্তানের জন্ম দিতেও হয়েছিল
– তাকেই লিখিত। তাই এখানে
'প্রিয়'র
প্রতি খুব একটা দেবত্ব আরোপের
সুযোগও ছিলনা। তবে 'দেবতা'
এখানে
,
কখনো
কখনো একটি 'চরিত্র'
বটে।
But
only three in all God’s universe
Have
heard this word thou hast said–Himself,
beside
Thee speaking, and me listening! and replied
One
of us … that was God …
পাঠক,
এই
পংক্তিগুলি যদি বর্তমান
লেখকজনকে মনেপড়ায় নিম্নোদ্ধৃত
পংক্তিগুলি তাহলে কি তা'কি
খুবই অসংলগ্ন,
অসমীচীন?
Who is the third who
walks always beside you?
When I count, there are only you and I together
But when I look ahead up the white road
There is always another one walking beside you
Gliding wrapt in a brown mantle, hooded
I do not know whether a man or a woman
—But who is that on the other side of you?
When I count, there are only you and I together
But when I look ahead up the white road
There is always another one walking beside you
Gliding wrapt in a brown mantle, hooded
I do not know whether a man or a woman
—But who is that on the other side of you?
দ্বিতীয়
ক্ষেত্রে এই 'তৃতীয়জন'টি
রহস্যাবৃত কেননা দ্বিতীয়
ক্ষেত্রে কবিজন,
প্রকৃত
পাঠক সুনিশ্চিত টের পেয়েছেন
ইতোমধ্যে,
যে,
তিনি,
এলিয়ট,
তিনি
বিংশ শতাব্দীর,
তিনি
এক বিংশ শতাব্দীর...
আর
প্রথমোক্ত কবিজন সেই ভিক্টোরীয়ান
আমলের। সুতরাং দূরত্ব,
ভাবনায়,
প্রকাশভঙ্গিতে
অবশ্যম্ভাবী। তথাপিও,
ওই
তৃতীয়জনের উল্লেখে কোথাও যেন
রয়ে গিয়েছে একটি যোগসুত্রও
– যা কেবলই ইমেজের। ইমেজের
কেননা 'আলফ্রেড্
প্রুফকে'র
পক্ষে 'প্রেম'
বিষয়ে
'গীতি'
রচনা
সম্ভব কিন্তু 'প্রেমগীতি'
- 'নৈব
নৈব ...'।
'নৈব'
কেবল
এলিয়টের জন্যই নয়। 'নৈব
নৈব'
তৎসময়
থেকে এতাবৎ পৃথিবীর সব ভাষায়,
সব
দেশে,
সব
প্রকৃত কবিজনের জন্যই।
রবীন্দ্রনাথও সম্ভবতঃ ব্যতিক্রম
নন কেননা তাঁর গান,
কবিতা
যেখানে 'প্রেম
বিষয়ে'
না
হয়ে,
হয়ে
উঠেছে
'প্রেমের'
– সেখানে
তিনি 'ফিজিক্যাল'
কে
পার হয়ে উড্ডীন হয়েছেন
'মেটাফিজিক্যাল'
এ।
ঠিক যেমন ফেলিনি'র
৮ ২/১
ছবির প্রোটাগোনস্ট,
চলচ্চিত্র
পরিচালক গুইডো,
যানজট-আক্রান্ত
রাস্তায় বদ্ধ ট্যাক্সির
বন্দিত্ব থেকে আপনাকে মুক্ত
করেনিতে ডানামেলে আকাশে,যে
আকাশ,আদতে
মর্মাকাশ । আমরা দেখলাম সুধীন
দত্ত'কেও।
দেখলাম তিনিও 'প্রেমগীত'রচনা
করতে গিয়ে বারবারই প্রশ্ন
তুলছেন 'প্রেম'
বিষয়ে,অস্বীকারই
করেছেন প্রায় 'সেই
ইচ্ছা'
যা
'সংঘ
নয়,
শক্তি
নয়,
কর্মীদের,
সুধীদের
বিবর্ণতা নয়',
যা
'
আরো
আলো,
মানুষের
তরে এক মানুষীর গভীর হৃদয়'।
পরিবর্তে
সুধীন দত্ত বল্লেনঃ
'তোমারে
যে কেন বাসি ভালো,
সে
সত্য জানার আগে মিলনের মুহুর্ত
ফুরাল,
শুরু
হল দীর্ঘায়িত বিচ্ছেদের রাতি।
হায়,
স্বপ্নসাথী,
শুধায়ো
না সে-প্রথম
প্রণয় কাহিনী।
সে-দিন
বিশেষ ক'রে
একমাত্র তোমারে চাহিনি
সর্বনষ্ট
মর্তে বা ত্রিদিবে।'
এই
উচ্চারণ আর যাই হোক 'প্রণয়
প্রশ্ন'
নয়,
'প্রেমগীত'
নয়।
পক্ষান্তরে
ভিক্টোরীয় সময়ের কবির প্রণয়প্রশ্নঃ
If
thou must love me, let it be for nought
Except
for love’s sake only. Do not say
“I
love her for her smile–her look–her way
Of
speaking gently–for a trick of thought
That
falls in well with mine, and certes brought
A
sense of pleasant ease on such a day”–
For
these things in themselves, Belovëd, may
Be
changed, or change for thee–and love, so wrought,
May
be unwrought so. Neither love me for
Thine
own dear pity’s wiping my cheeks dry–
A
creature might forget to weep, who bore
Thy
comfort long, and lose thy love thereby!
But
love me for love’s sake, that evermore
Thou
may’st love on, through love’s eternity.
হয়তো
বহিরঙ্গে মনে আসতেই পারেন
শেক্ষপীরঃ
Shall
I compare thee to a summer’s day?
কিন্তু
অন্তিমে শেক্ষপীরের প্রেয়সী
বা প্রেমিকের পরমায়ু,
অমরত্ব
নির্ভরশীল কবির কবিতাটির
অমরত্বের উপরেইঃ
So long as men can breathe, or eyes can see, So long lives this, and this gives life to thee.
কিন্তু
এই কবি,
হয়তো
মহিলা বলেই,
বিশ্বাসী,
নিঃশর্ত
অমরণ প্রেমেঃ love’s
eternity.
অথচ
যে 'প্রিয়'টিকে
লিখিত এই পংক্তিগুলি,
সেই
কবি-প্রিয়
কি বিশ্বাসী অমরণ-প্রেমে
বা প্রেমের অমরণে?
সেই
কবি-প্রিয়ও
প্রশ্নাতুর,
সতত।
তিলি লিখেনঃ
What
if heaven be that, fair and strong
At
life’s best, with our eyes upturn’d
Whither
life’s flower is first discern’d,
We,
fix’d so, ever should so abide?
What
if we still ride on, we two
With
life for ever old yet new,
Changed
not in kind but in degree,
The
instant made eternity,—
And
heaven just prove that I and she
Ride,
ride together, for ever ride?
হয়তো
রবার্ট ব্রাউনিঙ্গের অন্তর্জগত
এমনি প্রশ্নশরোজ্জ্বল বলেই
এলিজাবেথ বেরেটের প্রশ্নহীন,
নিঃশর্ত
কবিতা তাঁকে এমন নিবিড় ভাবেই
বিদ্ধ করেছিল,
যে,
সেই
মহিলা কবিটিকে রবার্ট ব্রাউনিঙ্গের
নিতে হলো জীবনসঙ্গিনী হিসেবেই।
এলিজাবেথ বেরেট হলেন এলিজাবেথ
বেরেট ব্রাউনিং। এই “ব্রাউনিং”
পদবীর ছায়ায় দাঁড়িয়েই কি তাঁর
মনে এসেছিলঃ
If
I leave all for thee, wilt thou exchange
And
be all to me? Shall I never miss
Home-talk
and blessing and the common kiss
That
comes to each in turn, nor count it strange,
When
I look up, to drop on a new range
Of
walls and floors, another home than this?
Nay,
wilt thou fill that place by me which is
Filled
by dead eyes too tender to know change
That’s
hardest. If to conquer love, has tried,
To
conquer grief, tries more, as all things prove,
For
grief indeed is love and grief beside.
Alas,
I have grieved so I am hard to love.
Yet
love me–wilt thou? Open thy heart wide,
And
fold within, the wet wings of thy dove.
২।
সনেটগুলি
প্রকাশ করবার ব্যাপারে
এলিজাবেথের “ প্রকৃত কবিতার
চেয়ে এই গুলি ঢের বেশী ব্যক্তিগত
এবং দূর্বল” এই দ্বিধার
প্রতিপক্ষে রবার্ট বল্লেন,
যে,
এই
সনেটগুলি,
শেক্ষপীরের
সনেটের পরে,
ওই
সনেটধর্মের প্রকৃত উত্তরসূরী।
অতএব প্রকাশিত তারা হবেই।
তথাপি এলিজাবেথ চাইলেন গুচ্ছটির
এমন একটি নাম যা পাঠককে জানাবে,
যে,
কবিতাগুলি
আদতে তাঁর অনুবাদ কর্ম। প্রথমে
নাম স্থির হলো "Sonnets
translated from the Bosnian" অতঃপর
“Sonnets
from the Portuguese” ।
এই
তথ্যও আজ প্রায় সর্বপাঠকজনবিদিত,
যে,
নিবিড়
মুহুর্তে,
এলিজাবেথের
কাছে রবার্টের ডাকনাম ছিল
“"my
little Portuguese"
এলিজাবেথের
এই সনেটগুচ্ছের আরম্ভে কবি
যেন পথে পথে নাচ দেখিয়ে,
গান
গেয়ে বেড়ানো এক জিপ্সী মেয়ে
আর তার প্রেমাস্পদ যেন একজন
রাজকীয় কবি,গায়ক,বাদ্যকার।
তাই প্রেমাস্পদর দিকে আপনাকে
এগিয়ে দিতে গিয়েও সে ভীতা,
দ্বিধান্বিতা।
অতঃপর ওই দুইটি ইমেজ,
ক্রমে,
মুছে
গিয়ে আরম্ভ হয় এক প্রকৃত
প্রণয়ালাপ,
প্রণয়প্রশ্ন,
তবু
যেন সমানে সমানে নয়,
যেন
রবিনাটকের রাজায় আর সুরঙ্গমায়
...
সনেটগুচ্ছটি,
সেদিন
রাত্রে,
বাড়ির
সবাই ঘুমিয়ে পরলে,
পাঠ
করতে করতে জেজে উঠলো একটি সুর।
একটি গান। “আমার
হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা,
আমি
যে পথ চিনিনা “।
কথাকার ও সুরকার শ্রী
ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
। প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কন্ঠে গীত হয়েছিল 'ছুটি'
সিনেমায়।
তারও আগে দেবী আঙ্গুরবালার
কন্ঠে রয়েছে একটি রেকর্ড।
আমার মন চাইলো,
শুনতে,
আঙ্গুরবালার
কন্ঠেই,
ওই
মুহুর্তে। কেন চাইল মন এমন?
গানটি
শুনতে শুনতে মনেহল প্রতিমার
কন্ঠের নিছক রোমান্টিক নিবেদনের
প্রতিতুলনায় আঙ্গুরবালা'র
কন্ঠে গানটিতে যুক্ত হয়েছে,
যেনবা
বৈষ্ণব পদাবলীর সেই সকল অংশের
চরিতার্থতা যে সকল অংশে বৈষ্ণব
পদাবলী নয় 'বটতলা-চুম্বন-পদ্ধতি'র
আধ্যাত্মিক প্যারালাল। যেন
কমলা ঝরিয়ার কন্ঠে 'পীরিতি
সুখের সায়র ভাবিয়া'
অথবা
“কানু কহে রাই” ...।
“আমার হাত ধরে তুমি” থেকে চলে
যাচ্ছিলাম কমলা ঝরিয়ায়। তিলেন
থামতে হল।
থামতে
হল,
কেননা,
উইম্পল
স্ট্রিটের এই বেরেট পরিবারটি
বিষয়ে Rudolf
Besier
এর
'The
Barretts of Wimpole Street'
নাটকটির
ভিত্তিতে হওয়া দুইটি চলচ্চিত্র
ও টেলিভিশন সিরিজের দৌলতে
এলিজাবেথের প্রতি তার পিতার
অবৈধ আকর্ষণের ইঙ্গিত পেয়েছি।
জেনেছি এলিজাবেথের শারিরীক
অসুস্থতা ছাড়াও এই অন্ধকার
চালচিত্র তার যাপনে ও রচনায়
ছায়া ফেলেছে গভীর। এই 'আধুনিক'
বিপর্যয়
গুলি বৈষ্ণব পদাবলীর আবহে
ছিলনা। তবে যৌনতা,
মর্ষকাম,
অবৈধতা
প্রতিটি স্তরের বৈষ্ণব পদাবলীর
সমাজে ছিল যার রকম কিছুটা আঁচ
করাযায়,
পরবর্তীতে,
শরচ্চন্দ্রের
“পল্লীসমাজ” বা “বামুনের
মেয়েতে। ওই সমস্ত যৌনতার
প্রকাশ বৈষ্ণব পদাবলীতে প্রকট
ও বিকট। কিন্তু এলিজাবেথের
সনেটগুচ্ছে যৌনতার ইঙ্গিতটুকুও
নেই। বরংঃ “If
thou must love me, let it be for nought
Except
for love’s sake only” - সনেটটিতে
অন্য সকল অনুষংগ এসে পড়লেও,
“হে
প্রিয়,
তুমি
আমাকে আমার এই স্তন,
জংঘা,নাভি
কিংবা যোনির কারণে ভালবেসো
না “ -
এই
উচ্চারণটি নেই। পক্ষান্তরে
বৈষ্ণব কবিতার ছত্রে ছত্রে
স্তন,
জংঘা,নাভি
আর যোনিরই সাতকাহন। তথাপিও
এই সনেটগুচ্ছ আমাকে নিয়েগেলো
কমলা ঝরিয়ায়,
কীর্তনে।
কমলা ঝরিয়ার সুরে সুরে রাত
যখন প্রায় ভোরের দিকে তখন টের
পেলাম এলিজাবেথের এই সনেটগুচ্ছের
সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলীর সার্থক
পদ গুলির সংশ্রব তাদের অন্তর্গত
নিবেদনের সুরে। -
এক
পরকীয়ারতা গ্রাম্য মেয়ে মানুষ
তার পারিপার্শ্বের অন্ধকার
যবনিকা ভেদ করে আশ্রয় চাইছে
তার প্রেমিকের কাছে। ওই আশ্রয়
চাওয়ার মধ্যেই সে করে তুলছে
তার 'প্রিয়'
কে
দেবতা আর এই সনেটগুচ্ছের কবি
মহিলাও তার উইম্পল
স্ট্রিটের বনেদিয়ানার
যবনিকান্তরালে সক্রিয় যৌনতার,
অবৈধতার
হাত থেকে মুক্তি চাইছে তার
“লিটিল পর্তুগীজ” এর কাছে।
নিঃশর্তে।
এই
“নিঃশর্ত” শব্দটিই,
উভয়
ক্ষেত্রেই,
প্রকৃতপক্ষে
প্রেম-কবিতার
পরিসরদায়ী।
এই
“নিঃশর্ত” শব্দটি ছিলনা বলেই,
নেই
বলেই,
বহুযুগ
আর প্রেমগীত রচিত হয়না। যা
হয় তা,
সফল
হলে,
প্রেম
বিষয়ে কাব্য।
পাঠকজনের
সুবিধার্থে না'কি
আমারই ভালোলাগার অতি-উৎসাহে,
পরের
অংশে যাওয়ার আগে,
রইলো
কিছু উদারহরণঃ
পংক্তিগুলি
লিখে দিতে গিয়ে আবারো থামলাম
এই পংক্তিতে এসেঃ
“My
cricket chirps against thy mandolin ...”
মনে
এলোঃ
"ছন্দে
গাঁথা বাণী তখন পড়ব তোমার কানে
মন্দ
মৃদুল তানে --
ঝিল্লি
যেমন শালের বনে নিদ্রানীরব
রাতে
অন্ধকারের
জপের মালায় একটানা সুর গাঁথে।
একলা
তোমার বিজন প্রাণের প্রাঙ্গণে
প্রান্তে
বসে একমনে
এঁকে
যাব আমার গানের আল্পনা
আনমনা
গো,
আনমনা।"
৩।
এলিজাবেথের
কবিতাকণাঃ
I
thought once how Theocritus had sung
Of
the sweet years, the dear and wished-for years,
Who
each one in a gracious hand appears
To
bear a gift for mortals, old or young:
And,
as I mused it in his antique tongue,
I
saw, in gradual vision through my tears,
The
sweet, sad years, the melancholy years,
Those
of my own life, who by turns had flung
A
shadow across me. Straightway I was ’ware,
So
weeping, how a mystic Shape did move
Behind
me, and drew me backward by the hair;
And
a voice said in mastery, while I strove–
“Guess
now who holds thee!”–“Death,” I said.
But,
there,The silver answer rang, “Not Death, but Love.”
#
Thou,
bethink thee, art
A
guest for queens to social pageantries,
With
gages from a hundred brighter eyes
Than
tears even can make mine, to play thy part
Of
chief musician.
#
My
cricket chirps against thy mandolin
#
I
look on thee–on thee–
Beholding,
besides love, the end of love,
Hearing
oblivion beyond memory;
#
never gave a lock
of hair away
To
a man, Dearest, except this to thee,
Which
now upon my fingers thoughtfully
I
ring out to the full brown length and say
“Take
it.” My day of youth went yesterday;
#
God’s
future thundered on my past
#
I
see thine image through my tears to-night,
And
yet to-day I saw thee smiling. How
Refer
the cause?–Belovëd, is it thou
Or
I, who makes me sad?
#
How
do I love thee? Let me count the ways.
I
love thee to the depth and breadth and height
My
soul can reach, when feeling out of sight
For
the ends of Being and ideal Grace.
I
love thee to the level of everyday’s
Most
quiet need, by sun and candlelight.
I
love thee freely, as men strive for Right;
I
love thee purely, as they turn from Praise.
I
love thee with the passion put to use
In
my old griefs, and with my childhood’s faith.
I
love thee with a love I seemed to lose
With
my lost saints–I love thee with the breath,
Smiles,
tears, of all my life!–and, if God choose,
I
shall but love thee better after death.
১৮/১১/২০১৮
বেঙ্গালোর