প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, August 17, 2019

বর্ণপরিচয় (১)

বর্ণপরিচয়
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
১।।
 “অ” এর মধ্যে ছিল অজগর সাপ
আম্রবৃক্ষটির ছায়ে শুয়ে চুপচাপ।
হ্রস্ব-ই, দীর্ঘ -ঈ ওই পথে এলে
নিখরচায় স্বগে গেল তাঁহার ছোঁবলে।।
মুখ তুলে উট চলে ধর্মপথ ধরে
দীর্ঘ-ঊ টি চলেছিল সেই উটে চড়ে।
ঋষি মহাশয় কিংবা পবিত্র বিড়াল
বল্লো তাদের ডেকে “ যা দিনকাল,
এতরাত্রে ধর্মপথে গিয়ে নেই কাজ।
ক্ষুরের ফলার মতো ধার সেই পথ
এবং নানান মুনির নানাবিধ মত।
তার চেয়ে এ আশ্রমে মস্তি মার আজ”।
শোনামাত্র মহাভক্ত অমিত লি-কার
শানালো পবিত্র ছুরি না করে আওয়াজ।
 নাকে তেল দিয়ে ঘুম যায় দীর্ঘ-ঊ।
এ-ঐ তখন কোথা নাহি জানে কেউ।
সন্দেহ সবই জানতো ও আর ঔ।।
“নাহলে পালাবে কেন?” বলে বিজ্ঞলোকে।
বর্ণপরিচয় পোড়ে অক্ষরের শোকে।
দগ্ধ হয় মুগ্ধবোধ, সহজপাঠ পোড়ে।
বংগভাষা গোরস্থানে যে নিশান ওড়ে
তাতে আছে পদ্ম আঁকা, বর্ন গৈরিক
গোমাতার পুত্র, ভ্রাতা হয়েছে শরিক।
কাশীরাম দাস পোড়ে, পোড়ে কৃত্তিবাস
রহিম ও রামের মধ্যে দ্বন্দ্ব সমাস
লিখেদিয়ে পালালো কি ও আর ঔ?
ধর্ম সারমেয় ডাকে ভৌ-ভৌ- ভৌ।
ভস্ম হল প্রথম ভাগ বর্ণ পরিচয়।
পুড়িব ব্যঞ্জনবর্ণ আসিলে সময়।।




ঘুম ঘর