টুকরো ক্যালেন্ডারে
পেরোতে পারিনা।
১৯৯০ সাল, বড়জোর ৯১,৯২। তারপরে আর
ডানা ঝাপটিয়ে
ওড়েনা ক্যালেন্ডার। ভাবি,
এইভাবে ডানাকাটা পাখি হয়ে
বেঁচে থাকা যায় নাকি। অথচ আমি তো
—কিভাবে জানিনা
২০২৫ এ পৌঁছে গেছি। তবে আমি
ভূত? প্রেত বা যক্ষ? আগলিয়ে বসে আছে
ক্যালেন্ডারের ছেঁড়াপাতা ভরা
দিন ও তারিখ গুলি? নাহলে কিভাবে
কলেজ-দেওয়ালে পা ঝুলিয়ে
বসে দেখি
“শ্রীরাধা” হল্ এর ম্যাটিনি-টিকিট ভিড়? “রাধা”র সতীন
“শ্রীদুর্গা” হল্। মুখামুখি। ম্যাটিনির
দর্শক ক্রমে দুর্গারও নাভি ঘিরে
অর্ধবৃত্তে মাছিদের মতো
এখন জমছে, ক্রমে। কলেজ-দেওয়ালে
পা ঝুলিয়ে বসে বসে
দেখি “শ্রীরাধা”র জঙ্ঘার মাঝখানে
গ’লে গেলো ভিড়। ডানা
ঝাপটায়, তবে,পোস্টার গুলি
উড়তে পারেনা। “বই” এসে চলে গেলে —
“বই” এসেছিল এ ঘোষণা নিয়ে
আরো কিছুদিন ঘোরে
টুকরো টুকরো, টুকরো নক্সী
কাঁথার মফস্বলে। বৃষ্টিতে শিলা
পতনের মতো এসব ছবিই ঝরে
আমার ভূগোলে। “বিভাবরী যায়
জাগরণে” – গান
এ গ্রহেও চলে আসে
যেখানে এখন ২০২৫ –
‘২৪ পার হয়ে। আসবে অচিরে
‘২৬ ও এই
গ্রহের ক্যালেন্ডারে। আমার ভূগোলে
হাওয়া ঘুরে যাবে
‘৮০-৯০’এ ফিরে। স্বেচ্ছা-বন্দী
আমি তবে এই
টুকরো ক্যালেন্ডারে?