প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Friday, June 20, 2025

বিনোদ কুমার শুক্লা’র “খিলেগা তো দেখেঙ্গে”, দেবাশিস তরফদার কৃত বঙ্গানুরণন

বিনোদ কুমার শুক্লা’র 

“খিলেগা তো দেখেঙ্গে”,

দেবাশিস তরফদার কৃত  

বঙ্গানুরণন





বিনোদ কুমার শুক্লা’র

অনন্য গ্রন্থ, “খিলেগা তো দেখেঙ্গে -- যা হিন্দি ভাষায় রচিত, এই গ্রন্থপাঠের অভিজ্ঞতাকে

কয়েক নিকটজনের সঙ্গে [ আমি, সপ্তর্ষি বিশ্বাস, ভাগ্যক্রমে

তাদেরই একজন] ভাগ করে নিতে, বাংলা ভাষায় তার অনুসরণ করেছেন কবি, পাঠক

দেবাশিস তরফদার। বিনোদ কুমার শুক্লা বিষয়ে

নতুন করে কিছু বলতে যাওয়া বাতুলতা। তাঁর

খিলেগা তো দেখেঙ্গের এই বঙ্গানুরণনকারী

দেবাশিস তরফদার বিষয়ে এইটুকু জানাই, যে, তিনি

নিজে একজন কবি ও সৃষ্টিশীল লেখক। জন্ম ১৯৫৮, আসামের

শিলচর শহরে। বর্তমানে

কলকাতা বসবাস। মুদ্রিত গ্রন্থ

সংখ্যা একাধিক।  দেবাশিস তরফদার কৃত  বঙ্গানুরণন টি’র

সম্পূর্ণ পিডিএফ পেতে এই সুতোটিতে ক্লিক করুন।

এই বঙ্গানুরণনটি পড়তে পড়তে আপনাআপনিই কিছু ছবি-চেষ্টা নিয়েছিলাম। বর্তমান ছবিটি, তারই একটি।






Wednesday, April 30, 2025

জয় গাঁ

 জয় গাঁ




এসেছিলাম, দেখে গেলাম, রেখে গেলাম

কয়েক টুকরো আমি

এই অরণ্যে, পাহাড়-পথে

ভূটান-বিদেশ গামী

মেঘের শিশু, মেঘ-পরিবার, দোকান –--- রাজু তামাং, 

হোটেল-বুড়া, তার উপরোধ “ আরেক হাতা ভাত

নাও গো খুকি, তুমি তো মা

কিচ্ছু খেলে না”, —- ছন্দ যদি ভাঙ্গে, ভাঙ্গুক –---

পরোয়া করি না, লিখতে হবে তাঁর কথাও, সেই যে মহিলা

মফস্বলি ডাকঘর এক 

আগলে ছিলেন একা, এখন বুড়ি, তাঁর সাথেও 

এই পাহাড়ে দেখা

হওয়ার ছিল? গণৎকারও জানেনা কোন রেখায়

পথের বাঁকে কখন চিতা, হরিণ দেখা যায়।

দেখে গেলাম ফুলশিশুটি

আনন্দ ঘাস-ফুল। রেখে এলাম আমার টুকরো

একটি তারো ঘ্রাণে –

হয়তো আবার অন্য কোনো আশ্বিনে,অঘ্রাণে

এই শিশুটিই পক্ষীমাতা, আগলে রাখে ছা –

যে আমি-টি অরণ্যে যায়

সে আর ফেরে না। যে ফেরে সে অন্য মানুষ

আধেক চিনি না। 

এসেছিলাম, দেখে গেলাম, রেখে গেলাম লিখে

তথাগত’র বার্তা-হেন 

নিশান গেলাম রেখেঃ

“হে অরণ্যে, ঝর্না,পাহাড়

আগলে রেখো তাকে –

গুম্ফাতে নয়, ঘর-দরজায়

যে সন্তটি থাকে।”


৩০/০৪/২০২৫


ঘুম ঘর