“ওরা কাজ করে”
ওরা কাজ করে। আমাদের খোপ-কোঠা হর্ম্যের পাড়ে
আরো একটি খোপ-কোঠা হর্ম্য বানায়
অন্যের লভ্যার্থে, অন্যের
লোভের ইচ্ছায়। ওরা কাজ করে
দেখি বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম-মাস ধরে। কেউ ফোন করে
নিশ্চিত দেশবাড়ি থেকে। ফোন ধ'রে
কেউ। বার্তালাপ-পারা
আতকা লাফ দেয়। উঠে যায়
তার সপ্তকে। “খানকীর ছেলে, তুই,
না, আমার মা তোর মা না। তুই
বেজন্মা, তোর বাপ আমার বাপ
না”। অন্য পক্ষ
কি বলে না শুনতে পেলেও
টের পাই তারও ভাষা — এমনই দুঃখের কোনো
সহজ পাঠ, মুগ্ধবোধ, হাসিরাশি
অথবা কৌমুদী। হাতফোন উড়ে
ছিটকে পড়ে গলীর রাস্তায়। যায়
খান খান হয়ে। এদেরই কারোর শিশু
ফোন-টুকরো জড়ো করে
কুড়িয়ে কুড়িয়ে। রোদ বাড়ে। ওরা
কাজ করে। মাইগ্রেন্ট মজুর এরা, এরা
কাজ করে। দেশে দেশান্তরে, অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের
সমুদ্র-নদীর ঘাটে ঘাটে,
পঞ্জাবে বোম্বাই-গুজরাটে –--ওরা কাজ করে। আমি
ওদের কে নিয়ে
পদ্য-কসরত করি
হর্ম্যের বারিন্দায় বসে।