প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Monday, August 5, 2013

"তবু রঙ্গে ভরা"

"তবু রঙ্গে ভরা" 
        
১।
বঙ্গে দেখো উঠিয়াছে ভাবের তুফান।
চিল ঘরে দোর দিয়া রচিতেছে গান ।।
"রামপ্রসাদ", "তুকারাম", ফোকটে "কবীর"।
ন্যাপকিন-পেপার জাত টয়লেটের বীর ।।
গড়াগড়ি যায় আহা, এ বঙ্গের পথে।
নাকে কানে তূলা গুঁজি দেখহ কি মতে ।।
ধরে রাখে অন্ডাশয়ে বিন্দু বিন্দু ভাব ।
ঝোল্যমান মোক্ষ-ফল, যেন গাছে  ডাব ।।
সকলেই সকলেরে "মা-বাপ" সম্ভাষে।
ভক্তি-স্রোতে নর্দমা ও কোঁত-কমোড ভাসে।
উর্ধবাহু নেত্য করে ছাতের নিমাই ।।
পাষন্ড আমি হে, এবে, বলো কোথা যাই?
#
‘যাবে কোথা? এসো হেথা রঙ্গ দেখি সবে –
ভাবের সপ্তম স্বগ্‌গো নামিয়াছে ভবে।
'গাজা'য় মরিছে শিশু? তাহে কিবা মোর?
গঞ্জিকার ভান্ড অন্ডা-শয়ে ভরপুর।
বাম হস্তে মিশ্র-ছন্দ লিখিবারে পারি --
চতুষ্পদ নহে, আমি দ্বিপদী-কারবারি।
বুলডোজারে ভাঙ্গে বস্তি টার্মিনেটার?
পূর্বজন্মে ছিল পাপী, লভে ফল তার।
এন-আর-সি, ভোটার লিস্টি? পুণ্যবলে ত্রাণ 
পাইয়াছি। তাই করি চক্ষু মুদে ধ্যান।
#
পাষণ্ড, তুমিও আইসো, মধুচক্রে ভিড়ে
শুনহ পুণ্যাত্মা-গাথা অবনত শিরে।"


২।
বঙ্গে, আহা, উঠিয়াছে ভাবের তুফান।
অসংখ্য পাষন্ড-বোলে কন্ঠাগত প্রাণ।।
ইন্সটাগ্রাম, ফেবু জুড়ি সর্ব অবতার।
কাছা খুলে রঙ্গভূমে নেমেছে আবার।।
পাড়া পড়শি যদিওবা অনাহারে মরে।
স্বয়ং-সেবায় তাঁরা মত্ত চিল-ঘরে।।
নিজেই নিজের ঢাকে কাঠি দিয়া বলে।
"আমারই চাড্ডি দেখো, উড়ে ধর্ম-কলে"।।
অথবা পেন্সনে, ফ্ল্যাটে "ডিক্লাসড" আমি।
আগাগোড়া "সর্বহারা" জানে অন্তর্যামী।। 
একটি শূওর নাকি ছিল অবতার।
প্রতিটি বরাহ এবে চর্ম খোঁজে তার।।
#
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব এতেক মাকাল।
কি'মতে সহিলে বলো তুমি এতোকাল।।
মিশ্র-ছন্দে হবে মিল 'ব' য় আকারে "বা"।
"ল" যোগে সাধনোচিত গর্তে ঢুকে যা।।








ঘুম ঘর