এতো ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
১।
বঙ্গে ফের উঠিয়াছে
ভাবের তুফান
চিল ঘরে দোর দিয়া
রচিতেছে গান
যেন কেউ
রামপ্রসাদ, ফোকটে কবীর
কাগজের ব্যাঘ্র আর
কাগজের বীর
গড়াগড়ি যায় দেখো এ
বঙ্গের পথে
নাকে কানে তূলা
গুঁজি দেখহ কি মতে
রাখিতেছে সযতনে
বিন্দু বিন্দু ভাব
মোক্ষ ফল ফলিয়াছে
যেন গাছে ডাব
সকলেই সকলেরে মা-বাপ্ সম্ভাষে
ভক্তির স্রোতে
দেখো বঙ্গ পুনঃ ভাসে
উর্ধবাহু নেত্য
করে ছাতের নিমাই
কেবলি পাষন্ড আমি
বলো কোথা যাই?
‘যাবে কোথা? এসো
হেথা রঙ্গ দেখি সবে –
ভাবের সপ্তম স্বগ্গো
নামিয়াছে ভবে’।।
২।
বঙ্গে ফের উঠিয়াছে
ভাবের তুফান
পাষন্ডের বোলে চালে
ঝালাপালা কান
ফেবু খুলি মনেহয়
সর্ব অবতার
কাছা খুলে
বঙ্গভূমে নেমেছে আবার
পাড়া পড়শি যদিওবা
অনাহারে মরে
তাঁহারা ভাবেতে
মত্ত খিল দিয়া ঘরে
নিজেই নিজের ঢাকে
কাঠি দিয়া বলে
‘আমিই ‘কবীর’ হনু,
শোনো, যোগবলে’
যেনবা কুমার শানু ‘কিশোর
কুমার’
নাম লয়ে শ্রোতাকর্ণ
করে ছারখার
একটি বরাহ কবে ছিল
অবতার
প্রতিটি শূকর এবে
হইল অবতার?
হে বঙ্গ ভান্ডারে
তব এতেক মাকাল
কিমতে সহিলে বলো
তুমি এতোকাল?