হে
স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা
১।
হে স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা, এসো ঘরে ফিরি।
যদিও এ পাল্প্ ফিক্শনে চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল
এ অভেদটি পুনরায় প্রমাণিত করা -
যে, হয়, সব ঘুঁটেকুড়ানিরা, আসলেই ডাল্সিনিয়া –
- রাজকন্যা -ডেল্ টবোসো – যদি সে প্রেমিক
ততোদূর বীর হতেপারে যতোটা বীরত্ব থাকলে
টিনের অসিটি ভরসা- আক্রমণ করাযায় “উইন্ড্মিল্”কেও ...
তথাপি রাজা ও গজা, মন্ত্রী আর পুরোহিতভায়া,
বিদূষক এবং পন্ডিত
আমাদের এ পাল্প্ গল্প নিয়ে
বিশ্বরূপ অন্যথায় অশ্বমেধহেন
হিংস্র রগড় চেয়ে
“ক্লাসিক্”, “এপিক্” বলে রটালো বাজারে ...
অর্থ হয়, অদ্যাপিও ঘুঁটেকুড়ানিরা
পেলোনা পুকুরে খুঁজে খোয়া যাওয়া রানীর মুকুট –
যদিও তুমি ও আমি, হে
স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা,
চিরবীরখ্যাতিতে ভূষিত…
অতএব ভুলেগিয়ে সেইসব অলৌকিক অভিযানমালা
হে স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা, “উইন্ড্মিল্”, সরাই পেরিয়ে
এসো ফিরি সে গৃহেই ফের
যে গৃহ সাম্রাজ্য আজো সর্বজয়া, লীলাদিদিদের …
২।
হে স্যাঙ্গাৎ,
স্যাঙ্কোপাঞ্জা, আমাদের কীর্তিকাহিনী
ধরাধামে সকলেই জেনেছে কিঞ্চিৎ! –
এরকমই শোনাগেছে চন্ডীমন্ডপে আর
আধ্যাত্মিক স্ট্রিপ্টীজ্ বার্’এ …
কারা যেন চোঙা ফুঁকে শহরে, বাজারে
রটিয়েছে সিনেমাইস্কোপে
দেখাযাবে আমাদের মারাত্মক ধর্মযুদ্ধগুলি!
( যাবে নাকি একদিন – চুপিচুপি –
দেখে আসতে ভোজবাজি
নিজ চর্মচোখে? -)
আরোও তাজ্জব বাৎ! হে স্যাঙ্গাৎ!
এনামেল থালাবাটি, জগমগ বন্ধক রেখে
বাইস্কোপ হলে গিয়ে – রাজকন্যা – ডালসিনিয়া – নিজে –
দুবার এসেছে দেখে আমাদের দৈব ইতিহাস!
এবং বেরিয়ে এসে শামুদা ব্ল্যাকারের কাঁধে মাথা রেখে চুপে
সত্যি সত্যি দুইদিনই অঝোরে কেঁদেছে…
অতএব ভুলেগিয়ে সেইসব অলৌকিক অভিযানমালা
হে স্যাঙ্গাৎ,
স্যাঙ্কোপাঞ্জা, “উইন্ড্মিল্”, সরাই পেরিয়ে
এসো ফিরি সে গ্রামেই
ফের
যে গ্রামে সে ডালসিনিয়া আজো
হয়তোবা পথ চেয়ে আছে আমাদের …