“নামাজ
আমার …”
“নামাজ আমার হইল না আদায়।
নামাজ আমি পইড়তে পাইলাম না” –
-মনে পড়লো।
মনে পড়লো বহুযুগ মরে যাওয়া
পার্কের কিনার ধরে
হেঁটে হেঁটে আসতে আসতে, রাত্রিবেলা।
যদিও আলোয়, আতরে
সমূহ বিপণিগুলি মেহেরবানির মতো উজ্জ্বল,
যদিও বিকিকিনি, আনাগোনা – সমস্তই এখনো চলছে পুরোদমে-
তবুও আকাশ এখন নিঝুম।
নক্ষত্রের চোখেও এখন প্রতীক্ষা।
আকাশ এখন নিঝুম।
এই আকাশের দিকে চোখ রেখে
ঈদের চাঁদকে খুঁজছে
সুলেমান আর সুলেমানের মা –
খুঁজছে শহরে, খুঁজছে নগরে,
খুঁজছে অলীগলীর গোলক ধাঁধায় –
গ্রামের বাজারে, ঘুঘুচড়া ভিটের আনাচে কানাচে –
খুঁজছে পৃথিবীর দুই প্রান্তে
খুঁজছে আলাদা আলাদা
একা একা …
আর সুলেমানের আব্বাজান
ভুলে গিয়ে খোঁজার নিয়ম-
রোজা আর নামাজের বিধি
বসে আছে
বহুযুগ মরে যাওয়া
পার্কের কিনারটিতে।
সদর রাস্তায়।
তার বেকুব দৃষ্টির সামনেও
ওই আকাশ, ঐ আতরগন্ধ,
ঐ ভিড়, ফেরেস্তার হাসির মতন ঐ একই কাচ্চাবাচ্চাগুলি –
মেহেরবানির মতন মস্জিদ। দোকানপসার।
ঐ আকাশের দিকে চোখ রেখে
ঐ সুলেমানের আব্বাজান, সে’ও কি বেহেস্ত্ খুঁজছে?
নাকি খুঁজছে ঈদের মায়াবী চাঁদ?
আশা আর আলো আর সৌভাগ্যের নিশ্চিত শপথ-
আল্লাতালার কাছে? অন্ধকারে বসে ...
না’কি তার পাথর দৃষ্টিতে
এখনো ফসিল হয়ে লেগে আছে
নিরুদ্দিষ্ট সুলেমান? তার শিশুমুখ?
ভরা বুকে নাভিও যৌবনে
হুরপরী? সুলেমানের মা?
না’কি তার বেকুব দৃষ্টির সীমা
পারহয়ে কান পাতলে
দূরবীন শাহ্ কিংবা খোদ মোহম্মদের মেয়ে
আজো গায়, আজো গেয়ে যায়ঃ
“নামাজ আমার হইল না আদায়।
নামাজ আমার হইল না আদায়” …