কথা অমৃতসমান
‘ধর্মে চ অর্থে চ
কামে চ মোক্ষে চ ভরতর্ষভ।
যদিহাস্তি তদন্যত্র
যন্নেহাস্তি ন কুত্রচিৎ’।।
উৎসর্গঃ
শিশিরকণা
বিশ্বাস ( দিদিভাই), রাজশেখর বসু, কালী প্রসন্ন সিংহ,
বুদ্ধদেব বসু, ইরাবতী
কার্ভে, সুজিৎ চৌধুরি
এবং
নৃসিংহ প্রসাদ
ভাদুড়ী
যাঁদের পিছু পিছু
আমার এই মহারণ্যে ঢুকেপড়া...
১। মহাভারত
এই বৃক্ষ বটবৃক্ষ?
না’কি বনস্পতি?
এই বৃক্ষ মহানিম?
জারুল? তমাল?
না’কি জটাজূটধারী
ব্যাসদেব? বৃদ্ধ মহাকাল –
ধারণ করেছে শৌর্যে
ইতিহাস, মহানীলাকাশ?
বিস্তারিত বংশে
তারি সূচীভেদ্য মহারণ্য কবে
পার হয়ে চলে গেছে
দৃষ্টিসীমা, স্মৃতিচক্রবাল –
এ অরণ্যগর্ভে আজো
প্রকৃতই ধ্যানে মগ্ন – জেনো-
শুক্রাচার্য,
বিশ্বামিত্র, মনু ও দুর্বাসা –
এ অরণ্য প্রহরায় রত
একর্ষ ভ্রমণকারী
ব্যাস, মহাকাল।
এ অরণ্য ছায়াদায়ী,
মায়াদায়ী, এ অরণ্য মাতা।
এ অরণ্য কামদগ্ধ,
হত্যাকারী, ভীষণ, করাল।।
এ অরণ্যে যেই
বৃক্ষ, যেই পুষ্প নেই
তেমন বৃক্ষ,পুষ্প
জানেনাই, জানিবেনা-
কোনোদিন কোনো
মহাকাল।।
২। নৃসিংহ ভাদুড়ী
অমৃতসমান কথা
কাশীরাম দাসই শুধু বলে?
শ্রবণও কেবলি করে
ভেকধারী ভিতু-পুণ্যবান?
তাহলে অ-মৃত নয়
এইসব কথা ও কাহিনী
প্রকৃত “অমৃত” তা’ই
– যার অধিকার
সুরাসুর ও মানুষে
সমান।
“কথাও ইশারা বটে”।
- তার থেকে অমৃতের মহিমা মন্থনে
যে যুগে সক্ষম যিনি
সেই যুগে “ব্যাসাসন” নির্ধারিত তাঁর।
সে অমৃত পান করতে
মর্মে যে’ই সত্য পারঙ্গম
সে’ই পুণ্যবান
শুধু। ধ্যানে যোগে প্রয়োজন নেই কিছু আর।
মহাভারতের কথা
অমৃতসমান।
নৃসিংহ ভাদুড়ী কহে।
শুনি এক মনে।
ক্ষুদ্র “আমি”
বিস্তারিত – মহাকালে – ক্রমে –
সে’ই যোগ। সে’ই
পুণ্য। সে’ই শেষ ধ্যান।