জন্মদাগ, জড়ুলের মতো
“পূজা” আর “প্রেম” এই দুইটি শব্দের
মধ্যবর্তী নিরালোক উপত্যকা জুড়ে
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ অদ্যাবধি প্রশ্নচিহ্নহেন
পদচারণায় রত। “গীতবিতান” হাতে।
যদিও পর্য্যায় ভাগ স্বহস্তেই করেছেন, তবু
কোথায় যে “প্রেম” কবে
কার মর্মে “পূজা” হয় আর
“পূজা” কোন নিভৃত ম্যাজিকে
মুহুর্তেই আত্মহত্যা, “প্রেম”, পরিণয় –
এই প্রশ্ন তাঁরো মর্মে ক্রমেই জটিল হতে থাকে
আমি তুমি যদু মধু
গীতা কিংবা জবাদেরই মতো।
হয়তোবা সাময়িক তবু
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এই সত্য কখনো বিস্মৃত-
অন্তর্গত প্রেমবিধি আর পূজাবিধি
প্রতিমর্মে ভিন্নার্থক – জন্মদাগ, জড়ুলের মতো।