প্রসঙ্গঃ "হে স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা"
লিখলামঃ
লিখলামঃ
হে স্যাঙ্গাৎ,
স্যাঙ্কোপাঞ্জা, এসো ঘরে ফিরি।
যদিও এ পাল্প্
ফিক্শনে চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল
এ অভেদটি পুনরায় প্রমাণিত করা -
যে, হয়, সব ঘুঁটেকুড়ানিরা, আসলেই ডাল্সিনিয়া –
- রাজকন্যা -ডেল্ টবোসো – যদি সে প্রেমিক
ততোদূর বীর হতেপারে যতোটা বীরত্ব থাকলে
টিনের অসিটি ভরসা- আক্রমণ করাযায় “উইন্ড্মিল্”কেও ...
তথাপি রাজা ও গজা, মন্ত্রী আর পুরোহিতভায়া,
বিদূষক এবং পন্ডিত
আমাদের এ পাল্প্ গল্প নিয়ে
বিশ্বরূপ অন্যথায় অশ্বমেধহেন
হিংস্র রগড় চেয়ে
“ক্লাসিক্”, “এপিক্” বলে রটালো বাজারে ...
অর্থ হয়, অদ্যাপিও ঘুঁটেকুড়ানিরা
পেলোনা পুকুরে খুঁজে খোয়া যাওয়া রানীর মুকুট –
যদিও তুমি ও আমি, হে স্যাঙ্গাৎ, স্যাঙ্কোপাঞ্জা,
চিরবীরখ্যাতিতে ভূষিত…
অতএব ভুলেগিয়ে সেইসব অলৌকিক অভিযানমালা
হে স্যাঙ্গাৎ,
স্যাঙ্কোপাঞ্জা, “উইন্ড্মিল্”, সরাই পেরিয়ে
এসো ফিরি সে গৃহেই ফের
যে গৃহ সাম্রাজ্য আজো সর্বজয়া, লীলাদিদিদের …
স্যার, শ্রদ্ধেয় মনোজ চক্রবর্তী, যাঁর লাইব্রেরী আর যাঁর সঙ্গে বিশ্ব সাহিত্য আলোচনার দৌলতেও আমার বহু বহু পাঠ, তিনি জানালেনঃ
"বুঝিনি ভালোকরে, বক্তা Quixote, বুঝলাম। Pulp fiction কেন তা বুঝলাম না"
স্যারের কথাগুলো আমাকে ভাবালো। চেষ্টা নিলাম নিজেও কথাটা বুঝতে - এভাবে -
স্যার, কবিতা বুঝিয়ে বলার ধৃষ্টতা, আপনাকে, আমার নেই। তবে
যে ভাবনা থেকে এই রচনাগুলির জন্ম তা কিছুটা গুছিয়ে বলার চেষ্টা নিচ্ছি। “ডন কিহোতে” নিয়ে অর্সন্ওয়েলস্ এর যে ছবিটি
আছে তা আমি ৫/৬ বছর আগে প্রথম দেখি। গ্রন্থটির মতোই, সম্পূর্ন গ্রন্থানুগ না হয়েও,
এ’ও এক এপিক্ই বটে। সেদিন সেনেমাটা আবার দেখে বইটা আবার ওল্টাচ্ছিলাম। ...
গ্রন্থে বা সিনেমাতে কোথাও কিহোতে ফেরার কথা বলেনি। বলেছে স্যাঙ্কো। দুবারই
কিহোতেকে সেই সমর্থ হয়েছে ফিরিয়ে নিয়েযেতে। কিন্তু আমার কবিতায় ফেরার কথা বলছে
কিহোতে নিজে। বলছে, কেননা, তার উপলব্ধি হয়েছে যে মূলতঃ তার অত্যাধিক “রোমান্স”
পাঠের ফলই এই অভিযান। কিন্তু আজকের, কিহোতে, “রোমান্স” নয়, বরং পাল্প্ ফিক্শান
পাঠেই অমনটা করতে পারে। তাই “পাল্প ফিক্শন” ( ঐ নামের সিনেমাটিও একটি লুকোনো কো
রিলেটিভ অবশ্যই) ...
কেন কিহোতেরা তার নদীর শহর ছেড়ে, চেনা মাঠ, রাস্তা বাজার,
লঙ্গাইরোড, সেটেল্মেন্ট রোড ছেড়ে এলো বোম্বাই,বেঙ্গালোরে, কলকাতায়? কেননা তাদের
মনে হয়েছিল প্রমান করে দিতে হবে তারাও পারে – ঐ পাল্প-ফিক্শনের হিরোর মতো – কি?
নিজেকে তথাকথিত প্রতিষ্ঠা দিতে। পারে, তাদের কল্পনায়, সমস্ত ঘুঁটেকুড়ানিকে রাজরানী
বলে প্রমান করতে। - কিন্তু বাস্তবে যা হলো তা এই, যে, “তথাকথিত প্রতিষ্ঠা” ত হলো
বটে – তাতে অনেকের আনন্দ হলো, অনেকে ঈর্ষা করলো, অনেকে সাধুবাদ দিলো, অনেকে কুৎসা
রটালো কিন্তু তাতে করে পাল্প্ ফিকশনের আরেক যে বাস্তবতা – আসলে সব ঘুঁটে কুড়ানিই
রাজকন্যা – তা প্রতিষ্ঠা করা গেলোনা। অতএব এই যাত্রার বৃহত্তর উদ্দেশ্যটাই গেলো
বান্চাল হয়ে। আর রইল কি? রইল যারা ঈর্ষা করতো, নিন্দা করতো তাদের মুখে চূনকালি
লেপে দেওয়া। - সে’ত হয়েগেছে। কিহোতে এখন কিংবদন্তী। তাহলে আর এই বোম্বাই,
বেঙ্গালোর আর কলকাতায় ঘুরেবেড়ান কেন? – চলো ঘরে ফিরি...
চলো ঘরে ফিরি... ঠিক ... কিন্তু ঘরেও যে যায়না আর ফেরা এটাও
আসবে এই সিরিজে। ক্রমে