প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, November 21, 2015

অতীতের সব জোনাকিরা ...

অতীতের সব জোনাকিরা ...


রাগ ইমন। ঠাট কল্যাণ এটি, হয়, ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের একটি প্রধান রাগ। যদিও গীত হতে পারে যে কোনো সময়েই তথাপি ...

 –এই সকল তথ্য জেনেছি অনেক অনেক বছর পরে তবু তার বহু আগে থেকেই যখন সূর্য আস্তে আস্তে নেমে যেতে থাকেন সুপারীগাছের পাতার ফাঁকে, সপ্ড়িগাছের আড়ালে, পুকুরের জল যখন নিতে থাকে আকাশের মতনই এক আশ্চর্য রহস্যময় চেহারা, যখন দূর থেকে ডাক ভেসে আসে-চই-চই-চই-চই, যখন উঠানের,মাঠের হৈ চৈ মিলিয়ে গিয়ে ক্রমে শোনা যেতে থাকে উলুধ্বনির ভরসা, হাতপা ধুয়ে পড়তে বসার শ্রান্ত প্রস্তুতি আর ক্রমে জেগে উঠতে থাকে একটি করে, দুটি করেঅনেক জোনাকিসেই সময়টির আবহসঙ্গীত, আমার মর্মে সুর... একটি গান ...

নেহাৎই যখন শিশু এক মারাত্মক অসুখ হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য থাকতাম শিলচরে। যে বাড়িতে থাকতাম সে বাড়ির ছোটোমেয়ে, তখন ছোট্ট দিদি-রুমি, সন্ধ্যাবেলায় বসতো হারমোনিয়ম নিয়ে আর ... কিযে গাইত বুঝতে পারতাম স্বভাবতই তবে গান, সুর হারমোনিয়ামে, ছোট্ট সেই দিদির কন্ঠে বেজেওঠামাত্র টের পেয়ে যেতাম যে এখন জেঠিমনি তুলসী তলায় প্রদীপ দেবেন, এখন আর খেলা চলবেনা উঠানেউঠে আসতে হবে ঘরে। টের পেতাম ... জানিনা ঠিক কি টের পেতাম তবে একটা মন খারাপ- একটা চল্লিশ পাওয়ারের বাল্ব...

যে সব দুপুরের ঘুম বিকালেও ভাঙ্গেনি ভেঙ্গেছে সুরে, গানে তৎক্ষনাৎমন গিয়েছে খারাপ হয়ে। শিশুস্নায়ুও টের পেতে শিখেছে, তদ্দিনে,যে, দুপুর গিয়েছে ফুরিয়ে। বিকালও গড়িয়ে গিয়েছে ঘুমের আড়ালে। এখন নেমে আসছে সন্ধ্যা। এখন উঠানের প্রান্তে, পুকুরপাড়ে, ক্রমে, জ্বলে উঠবে জোনাকিরা। জেঠিমনি হয় যাবেন তুলসীতলায় নয়তো ঠাকুরঘরে। এখন দাদু বার হয়ে যাবেন ধুতি পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে গান শেখাতে। এখন দিদিভাইকে চেপেধরে গল্প শোনা ভিন্ন আর কোনো খেলা নেই ...

যখন বয়স্ক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ডি এন ভট্টাচার্য আমাকে পুরোপুরি সুস্থ বলে ঘোষনা করলেন আমরা চলে এলাম করিমগঞ্জ। বাবার কর্মস্থল। উঠলাম আরেক ভাড়াবাড়িতে আর আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে  যদিও সবই অচেনা, যদিও ছেড়ে আসা বাড়িটির জন্য, ঐবাড়িত ছোট্ট রুমিদিদিটির জন্য, জেঠমনি-জেঠুর জন্য মন খারাপ -তথাপি - নতুন বাড়ির ভিতরের উঠানের কিনারেও মস্ত পুকুর। কিনারে কিনারে গাছ। নতুন বাড়িতেও আছে আরেকটি ছোট্ট না হলেও ছোটোই -দিদিসোমাদিদি - আর যখন সূর্য আস্তে আস্তে নেমে যেতে থাকেন সুপারীগাছের পাতার ফাঁকে, সপ্ড়িগাছের আড়ালে, পুকুরের জল যখন নিতে থাকে আকাশের মতনই এক আশ্চর্য রহস্যময় চেহারা, যখন দূর থেকে ডাক ভেসে আসে-চই-চই-চই-চই, যখন উঠানের,মাঠের হৈ চৈ মিলিয়ে গিয়ে ক্রমে শোনা যেতে থাকে উলুধ্বনির ভরসা, হাতপা ধুয়ে পড়তে বসার শ্রান্ত প্রস্তুতি আর ক্রমে জেগে উঠতে থাকে একটি করে, দুটি করেঅনেক জোনাকিতখন তাকেও বসতে হয় হারমোনিয়াম নিয়ে...গাইতে হয় ...

হ্যাঁ, সোমাদিদির গাওয়া থেকেই গানটির পংক্তির একটা আবছা চেহারা প্রথম টের পেয়েছিলাম

ক্রমে আমাদের ছোট্ট জমিটিতে ভিত্উঠলো। উঠলো দেওয়াল। কোঠা। সোমাদিদিদের বাড়ির প্রায় উল্টোদিকেই একদিন হলোঘরসঞ্চারআমাদের বাড়ির। নিজেদের বাড়ির। সেই সঙ্গে আমিও বেড়ে উঠলাম, বড় হয়ে উঠলাম আরেকটু। - নিজেদের বাড়িটিতে পুকুর নেই। তার বললে আছে বাড়ির পিছন দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি সুন্দরী খাল। আছে বাঁশঝাড়। আছে অর্জুন গাছ... কিন্তু দিদিনেই। রুমিদ্দিদি নেই, সোমাদিদি নেই। তবে পাশের বাড়িতে আছে মিঠুয়াদিদি আর যখন সূর্য আস্তে আস্তে নেমে যেতে থাকেন সুপারীগাছের পাতার ফাঁকে, সপ্ড়িগাছের আড়ালে, পুকুরের জল যখন নিতে থাকে আকাশের মতনই এক আশ্চর্য রহস্যময় চেহারা, যখন দূর থেকে ডাক ভেসে আসে-চই-চই-চই-চই, যখন উঠানের,মাঠের হৈ চৈ মিলিয়ে গিয়ে ক্রমে শোনা যেতে থাকে উলুধ্বনির ভরসা, হাতপা ধুয়ে পড়তে বসার শ্রান্ত প্রস্তুতি আর ক্রমে জেগে উঠতে থাকে একটি করে, দুটি করেঅনেক জোনাকিতখন তাকেও বসতে হয় হারমোনিয়াম নিয়ে...গাইতে হয় ...

বিয়ে হয়ে চলেগেলো মিঠুয়াদিদি। ইস্কুল পার হতে না হতেই। বিয়েবাড়ির ভিড়, কুটুম, অতিথ্রা যদ্দিন ছিল তদ্দিন, পাশের বাড়ি হলেও আমরাও ছিলাম তার গম্গমে জমজমাটে। ভুলে ছিলাম সন্ধ্যাগানের কথা, সুর। তারপরে একে একে চলে যেতে লাগলো কুটুমেরা। অতিথেরা। বাতাসে উড়তে লাগলো শু্কনো কলাপাতা। বিয়ের কুঞ্জছেঁড়া কাগজের টুকরো টাক্রা। আবার ইস্কুল থেকে ফিরে কোনোমতে হাত পা ধুয়ে এখটু কিছু মুখে নিয়েই বন্দের মাঠে দৌড়। আবার সূর্য্য বি এস আফ্এর টিলার ঐধার ছুঁইয়ে দেওয়া মাত্রই ছায়াদের দীর্ঘ হয়ে ওঠামাঠ ছেড়ে উঠে আসার পালা...আবার ঘরমুখো হওয়ার পালা ... সেই নটীখালের জলের বর্ণবদল, সেই দূর থেকে ভেসে আসা ডাক-চই-চই-চই-চই, সেই ভরসাশব্দ- উলুধ্বনির , সেই হাতপা ধুয়ে পড়তে বসার শ্রান্ত প্রস্তুতি আর ক্রমে জেগে উঠতে থাকা- জোনাকির- একটি করে, দুটি করে

সবই আছে তবু মাঠ থেকে উঠে এক দৌড়ে ভুক্কুরের কচুক্ষেত, সুভাষের দোকান, সোমাদিদিদের বাড়ি পার হয়ে সরকারি জলের কলের সামনে পৌঁছানোমাত্র টের পাওয়া যায় কি একটা নেই, কে একটা নেই, কিছু একটা নেই ... প্রথমে টের পাইনি। কিন্তু একদিন দুদিন তিনদিন ... দিন গেলে টের পেলাম নেই সুর, গান ... মনে আছে এক বিকালে মা সঙ্গে কোথাও গিয়েছিলাম। রিক্সা করে ফিরছিলাম সন্ধ্যাবেলা। এখনো দেখতে পাই থানা রোড সন্ধ্যারবাতিহীন রাস্তাঘাট, গৃহস্থের ঘর থেকে চুঁইয়ে আসা নিওন কিংবা গোল বাল্বের আলো দুটি যমজ তেঁতুলগাছকিনারে কিনারে বয়েচলা নটীখালআর ...

আর কাদের বাড়িতে যেন হারমোনিয়ামে বাজছে সুর, বালিকাকন্ঠে গান ...

কোন্বাড়ি? কার বাড়ি? কে গায়? মর্মে হাহাকার নাকি আনন্দ? জানিনা। ভেসে আসছে ধূপের গন্ধ। মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে রুমিদিদি-সোমাদিদি-মিঠুয়াদিদি- মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে সমস্ত পুকুরগুলিসমস্ত অতীতের সমস্ত জোনাকিরা যেন ফিরে আসতে চাইছে গানের, সুরের আবহে ...আর রিক্সা, হায় রিক্সা, তার চাকা ঘুরছে। প্রতিটি ঘূর্ণনের সঙ্গে আমি পেরিয়ে যাচ্ছি গান, সুর... পিছনে সাইকেল এসে ঘন্টি বাজাচ্ছে ।।ঢাকাপড়ে যাচ্ছে গান, ঢাকা পড়ে যাচ্ছে সুর ...

তারও বেশ কিছু পরের আরেকদিনসে দিনও খেলা শেষ করে এক দৌড়ে ভুক্কুরের কচুক্ষেত, সুভাষের দোকান, সোমাদিদিদের বাড়ি পার হয়ে সরকারি জলের কলের সামনে পৌঁছানোমাত্র

পৌঁছানোমাত্র থম্কে গেলাম। আবার সুর। গান। মুহুর্তে মনেহলো বাড়ির দিকে আসার বদলে আমি কি ভুল করে চলেগেছি থানারোডের রাস্তায়? জোড়া তেঁতুলগাছের অন্ধকারে? থম্কে দাঁড়িয়ে নিজেকে কেন্দ্র করে নির্ণয় করে নিলাম তন্মুহুর্তের নিজ পরিধিটিকে ... না, আমি আমার বাড়ির কাছেই এসেছি, তো সরকারি জলের কল, তো শ্রীভূমি পাঠশডালা, তো মিঠুয়াদিদিদের বাড়ি ...

আরেকটু ধাতস্থ হতে টের পেলাম গান, সুর ভেসে আসছে মিঠুয়াদিদিদের বাড়ি থেকেই। একদৌড়েআমাদের গেট পার হয়ে ঢুকে গেলাম মিঠুয়াদিদিদের বাড়িতে। হ্যাঁ, গান ভেসে আসছে একই কোঠা থেকেই যেখানে বসে মিঠুয়াদিদি গাইতো

সেখানে বসে আছে মৌ। মিঠুয়াদিদির ছোটোবোন। সামনে হারমোনিয়াম। মৌ কিনারে আরেক মহিলা। অপূর্ব সুন্দরী। তিনিও গাইছেন মো সঙ্গে। হারমোনিয়ামে চলছে তাঁর আঙ্গুল... গানের, সুরের মায়াকুয়াশার ভিতর দিয়ে চিন্তে পারমা ইনি মিঠুউয়াদিদিদের কাকিমনি। এসেছিলেন বিয়েতেও। তবে কি ইনি থাকবেন এখানে? কতোদিন থাকবেন? আবার সেই গান, সেই সুর যাবে শুনতে পাওয়া? সন্ধ্যার আবহে? উলুধ্বনির আবহে? ...

 

কাকিমনি থাকেননি। ফিরে গিয়েছিলেন দিন পর। কিন্তু গানটি, সুরটি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন মৌকে।

এখনো, প্রতি সন্ধ্যায়, অফিস ফেরতাপথে, এই বিষাদনগরীর ভিড় কেটে, জ্যাম্ছিঁড়ে বাড়ি আসতে আসতে আমি চোখ বন্ধ করি। ক্লান্তিতে নয়। ভরসাতে। স্মৃতির ভরসাতে। এখনো চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই পাই - থানা রোড সন্ধ্যারবাতিহীন রাস্তাঘাট, গৃহস্থের ঘর থেকে চুঁইয়ে আসা নিওন কিংবা গোল বাল্বের আলো দুটি যমজ তেঁতুলগাছকিনারে কিনারে বয়েচলা নটীখালটের পাই - ধূপের গন্ধ। মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় রুমিদিদি-সোমাদিদি-মিঠুয়াদিদি- মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় সমস্ত পুকুরগুলিসমস্ত অতীতের সমস্ত জোনাকিরা জেগে ওঠে গানের, সুরের আবহে ...আর শুনতে পাইকেউ গাইছেকোনোখানেহারমোনিয়াম বাজিয়ে

গাইছেপিয়া কি নজরিয়াযাদু ভরিপিয়া কি নজরিয়া ...”

  পুনশ্চঃ

এইসব ছবিগুলি – স্মৃতি কিআমার সমস্যা – আমার বসবাস আসলেই অতীতে। ছবিগুলি অবলীলায়  ভেসে উঠতে থাকে অনুষঙ্গ পাওয়ামাত্র। ঠিক যেমন গতকাল। “শত্রন্জ্‌ কি খিলাড়ী “কান্হা মে তুঝে হারি” গানটা খুঁজতে গিয়ে পন্ডিত ভীমসেনের  “পিয়া কি নজরিয়াতে ক্লিক্‌ আর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমন্ত কথাদের জেগে ওঠাতখনই এই ছবিটাও  এলো মর্মে – কাকিমণিকে আব্দার করে গান গাওয়ানো – “মাত্লো রে ভুবন বাজলো তোমার আলোর বেণু সেখান থেকে শার্প কাট্ঃ করিমগঞ্জ কলেজের পেছনের মাঠের কিনারের কোয়ার্টার – প্রিন্সিপ্যালেরহোস্টেল ওয়ারডেনের। সেখানে বিয়ে হচ্ছে শেখরকাকুর। পিঁড়িতে কনেকে তুলে সাতপাক – সেই প্রথম দেখা …বাড়ি ফিরেছিলাম হেঁটে। দলপতি সম্ভবতঃ ছিল রাজুদাদা। সঙ্গে –পার্থদা (বা দি), মান্নাদানূপুরদাবিভুদা


 (লন্ডনী বাড়ি) আর নিমাইদা ( পান্না উকীলের বাড়ির) ছিল। অনেক রাত তখন। নির্জন পথে বেশ শরগোল তুলেই আসা হয়েছিল। নানা জনে নানা গান করছিল। রাজুদাদা বেশ রসিয়ে যে গানটা গেয়েছিল তা আর কোনোখানে, কোনোদিন শুনিনিঃমামার শালা/পিসাই ভাই/ তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই

আরেকটা ছবি খুব মনে আসে –“কচিগিন ফিরে যাওদেওয়াললিপিশ্রীভূমি পাঠশালার দেওয়ালে

 হয়তো এতো ছবি, এতো কথা মনে থাকতো না, মনে জাগতো না যদি এই বেঙ্গালোর-জীবন, আই টি-যাপনকে মেনে নিতে পারতাম, এতো দিনেও, এক বিন্দুপারিনি বলে আমার শরীরটা ছাড়া আর কিছুই, কিছুই, কিচ্ছুইবাস করেনা এই ভংগা-লোরে। স্রেফ্পড়ে আছি এই হেতু যে করিমগঞ্জ শিলচরে চাকরি বাকরি পাবোনা

সঙ্গে আরেক বাস্তবতাও রয়েছেযে করিমগঞ্জকে নদীঘাটে বসিয়ে রেখে আমরা পাড়ি দিয়েছিলাম নিজ নিজ নিয়তির অন্ধকার ডাকেসেই করিমগঞ্জ, সেই নদীঘাটেআর নেই।

কোনো অর্থেই নেই। একদা-বন্ধুদের দেড়-দুইজনের বেশী কারোর সঙ্গে সময় কাটানো যায়না আর।

গ্লোবাইলাইজেশনএর অপভ্রংশসমস্ততেলচুরা আপনাকেময়ূরবিজ্ঞাপিত করততে গিয়ে ল্যাজে গোবড়ে

শিলচরের অবস্থাত আরো খারাপশিলচরের পথে হাঁটতে হাঁটতেপ্রায় ১০ বছর আগেই আমার মর্মে জন্মেছিল এই পংক্তিঃনগর নাগর হলে আমরা প্রত্যেকে হব তার কেনা নষ্ট মেয়েছেলে

 – সেই দিক থেকে করিমগঞ্জে এখনো অন্ধকার রাস্তাগুলো আছে, থানার টিলার কিনার ঘিরে আছে রহস্য, পুকুরকিন্তু জন্মেছে বেজন্মা বিবাহ-ভবন, মল্বানানোর চেষ্টাউঠেগেছে সিনেমা হল্ তবে রক্ষাএখনো পি ভি আর আসেনি। - কিন্তু আসবে। আর তখন সেই করিমগঞ্জের পথেও, নিশুত মধ্যরাতেওহেঁটে বেড়াবেননাছায়াশরীর নিয়ে -দেবব্রত সোম, সুজিৎ চৌধুরি, দিলীপ পালেরা। - অর্থাৎদুশ্শালা, আর টা বছর কাটিয়ে দিয়ে চলে যাবো করিমগঞ্জসুভাষনগরের শ্মশানেই পুড়বে আমার শবএই ঘোষনার মর্মের -সম্ভবতাও টের পাই। - ফলতঃ ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় মম নির্মাণ করে চলে সেই ছবিগুলিযা অতীত

 

অতীত। তবু মৃত নয়

 

ঘুম ঘর