“জগৎ পারাবারের তীরে...”
১।
তেপান্তরের মাঠের শেষে নিঝুম কুটীর আঁকা
তা’ই পেরিয়ে গিয়েছে পথ
জানেনা নিজে কি মনোরথ
পড়েছে ভেঙে রাজারও রথ
চিহ্ন আছে লেখা
ধুধু উদাস পথিক চলে পথের মতোই একা।
স্মৃতির তুষারপাহাড় থেকে বাতাস আসে উড়ে
তবুও কিছুই পড়েনা মনে
গলছে তুষার বিস্মরণে
সূর্য্য ডোবার অলীক ক্ষণে
হারানো কোন্ সুরে
কে যেন গায়, কিযেন গায় – তুষার আসে উড়ে।
তেপান্তরের মাঠের শেষে নিঝুমপুরীর রেখা
হাতছানি দেয় দিবসরাতে
তবে কী তার আমার সাথে
আরজনমের সাঁঝবেলাতে
হয়েওছিল দেখা?
ধুধু উদাস পথিক চলে পথের মতোই একা।
২।
জীবন যেন অচেনা কোনো পাখির ভাঙ্গা ডানা
শায়িত নীল চক্রবাল
রাত্রিদেহে তারার জাল
বুন্ছে একা কে মহাকাল
হঠাৎ ঝড়ের হানা
জীবন যেন সেই ঝড়ে কোন্ পাখির ভাঙ্গা ডানা।
স্বপ্ন ছিল সোনালী মেঘ, নদী নিরঞ্জনা
ধরবে বুকে মেঘের ছায়া
সন্ধ্যাদীপে সে কার কায়া
ফিরিয়ে দেবে নিবিড় মায়া
ফুটবে আবার
হাস্নুহানা
ঝিঁঝিঁর গানে রাত গড়াবে আঁধারে একটানা।
ভগ্ন তবু স্বপ্নে আজো মর্মরিত ডানা
বাতাসে কাঁপে দুঃসাহসী
যেন কাশের অমল হাসি
পঙ্গু রাখাল হাড়ের বাঁশির
মাদক সুরে
হানা
দেওয়ার মূল্যে মর্মে ভোলে ভেঙ্গেছে কার ডানা...
৩।
চিত্রপটে রাত্রি ছিল নিঝুম রঙে আঁকা
সীমানাহীন অন্ধকার
আচ্ছাদিত পথটি আর
পাতার বাঁশি সঙ্গী তার
এই যাত্রায় একা
কোমরবন্ধে নেই তলোয়ার, কেবলি আংরাখা।
তবুও কিছু ছিল না ভয়, আকাশ মেঘে ঢাকা
বর্শাহেন বাতাসে হিম
ঝাড়লন্ঠন আর পিদিম
নিভেছে কবে, ধরেছে ঝিম্
বাদুড়
পেঁচার পাখা
কবচ বলতে কোমরে সেই হাড়ের আংরাখা।
হঠাৎই ফাঁদ, আকাশে চাঁদ, একটুখানি বাঁকা
নিশিপ্রেতের মতন ডাকে
বাঁশের ঝাড়ে লুকিয়ে থাকে
ঘোমটা নেড়ে একলা তাকে
দেখায় কফিন –
ফাঁকা –
সে পুড়েযায় চাঁদের মায়ায়, পোড়েনা আংরাখা।