[ প্রায় ১৭-১৮ বছর আগে যে অক্ষরগুলিকে পার হয়ে এসেছিলাম আজ
তাদের ছায়াতে বসে টেরপাই তারা জীবিত অদ্যাপি।
টেরপাই তারা অন্য
অবয়ব চায় ...]
ছায়া ক্রমে নেমে আসে, নেমে এসে ঢেকে দেয়
উঠান, অন্দর। পাহাড়ের সানুদেশে সারি সারি ঘর
ক্রমশ ছবির মতো শান্ত হয়ে মিশে যেতে থাকে
প্রলম্বিত ছায়াদের ডাকে। ছায়াদের ছায়া-অবয়বে।
ছায়াদের স্তিন, জঙ্ঘা, তলপেট, নাভি ও উরুতে
পাতা ঝরে। রাশি রাশি রক্তহীন পাতা ঝরেপড়ে
ছোটো ছোটো খড়ে ছাওয়া, টিনে ছাওয়া চালে।
বারান্দায়, এই মৃত ছায়াবৃত আদিষ্ট বিকালে
কেউ ভাবে কোন্ দেশে গেলে পাওয়া যাবে
সবুজ ঘাসের মাঠ, স্বাস্থ্যবতী বিটপ, পত্রালী
সে দেশের অন্ধকারে নৃত্যময়ী অযুত জোনাকি
শোনাবে কি গল্পকথা পাহাড়ের আর পারে থাকা
ভিন গ্রাম, অন্য নদী, আর বৃক্ষ, অপর দেশের?
জানাবে কি স্বপ্নে আছে আরো পথ আরো দূরগামী
নদীর নাভির নীচে নাগলোকে নায়িকা উলূপী?
কি আছে যাওয়ার শেষে ভিন পথে, ভিন্ন দ্রাঘিমায়
এই পথ এ সকল পরিচিত ছায়া ফেলে কেউ
এ বিকালে একা একা আরপথে চলেযায় যদি ...
১২ মার্চ্চ ২০০১, গৌহাটী
ফিরেলেখাঃ ৩০ জুন ২০১৮, বেঙ্গালোর