প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Tuesday, December 11, 2012

সংলাপঃ মঞ্চের অন্ধকার থেকে





সংলাপঃ মঞ্চের অন্ধকার থেকে

১।
মঞ্চের পার্শ্ববর্তী অন্ধকারে আমি নিজেকে আড়াল করে
ভুলে যেতে চাইছি সমূলে মঞ্চসজ্জা, দৃশ্যভাগ, ছদ্মবেশ এবং সংলাপ –
প্রলাপে অভ্যস্ত হয়ে চেষ্টা নিচ্ছি হয়ে উঠতে শিলালিপি, লুপ্ত ইতিহাস ...
এতো মুখ, এতো মায়া, স্পট্‌ লাইট, কাম ও ইশারা
আমাকে পুড়িয়ে ফেলছে সত্যাগ্রহী আলোর আড়ালে –
তবু কেউ যাত্রাগানে বিবেকের মতো
এনে দিচ্ছে জন্মচিহ্ন, ক্ষত আর ব্যাহত মুকুট ...
আমি তাই দুই চোখ উপড়ে ফেলে দিয়ে
ঘোর অমাবস্যা রাতে অন্তর্গত নদীতে ঝাঁপিয়ে
সমষ্টির সূতো ছিঁড়ে হয়ে যাচ্ছি ইতিহাসে শেষ দলছুট্‌ ...
২।
আমিও চরিত্র এক তোমাদের এ নিখাদ নাটকে,
নির্দেশক তাই খাতা হাতে অন্য সবার সঙ্গে
আমারো নামটি ডাকছে, টের পাচ্ছি, তবু
কিছুতেই আমি আর বুঝতে পারছিনা
কোনটা আমার নাম, কোন নাম মন্ত্রী কিংবা রাণীর দাসীর ...
একেকবার মনেহচ্ছে সব নামই সর্বনাম, আমার উপমা –
পরের মুহুর্তে আমি নামহীন, পরিনামহীন
শূন্যস্থান হয়ে যাচ্ছি তোমাদের এ নিখাদ নাটকে –
যাত্রার বিবেকও আজ ব্যর্থ হচ্ছে  সূত্র দিয়ে যেতে
কেননা বিবেক হয়ে আমিও কখনো
ভুলেগেছি তার নাম, বেশভূষা এবং সংলাপ ...

ঘুম ঘর