পন্ডিত রবিশংকর স্মরনে
তবুও বেহাগ
বাজবে, বেজে যাবে ইমন, বাহার –
আলাপ,
বিস্তার হয়ে অন্তরার কিনারে আবার
সেই স্বরই
ফিরে আসবে ধ্রুবপদ হয়ে –
যোগিয়ার
অবরোহ ছুঁয়ে মুছেযাবে নিশুতি আঁধার ...
তাই তুমি
চলে গেছো পার হয়ে অস্থায়ী সকল অন্তরা,
রেখে গেছো
শুদ্ধ স্বর, যতি ও সেতার ...
আলো আমার কালো আমার আলো...
কবি শুধু
অন্ধকারই লিখে যেতে পারে,
যতোই আলোর
কথা ছন্দে সুরে বলে
ততো তার গুপ্ত
চোখ আরো অন্ধকারে
খুঁজেচলে
লুপ্ত যুগ, স্থাপত্য ও জলমগ্ন শিলা –
সে লীন
আঁধারে ডুবে ক্রমে ক্রমে টের পায় কবি
আঁধারই
প্রকৃত পুষ্প, মাতৃগর্ভ, অতল, অধরা ...
আঁধার-মহিমা
গায় কবি ঐ শোনোঃ
‘আলো আমার কালো আমার
আলো ভুবন ভরা ...”