প্রবেশিকা

ভিড়েই রয়েছি মিশে, নিজবেশে, তাই চিনতে পারছেনা কেউ। এ'ই স্বাভাবিক। ম্যাজিক-মাহাত্ম্য ছাড়া, ম্যাজিক-মাহাত্ম্যের মূলে অন্ধকার টুপি আর ঝোলা কোট ছাড়া, কে হে আমি? কে’বা আমি? কিভাবে ভিড়কে বলি ইন্দুরে কেটেছে টুপি, লাল-নীল রুমালের ঝাঁক উড়ে গেছে পায়রা, কাক হয়ে...

Tuesday, July 23, 2013

হানাবাড়ি





হানাবাড়ি

নিজেকে খুঁড়তে গিয়ে প্রথমেই উঠে আসে
ছম্‌ছমে এক হানাবাড়ি –
ফেঁসে যাওয়া অন্তর্বাস ইতস্ততঃ দড়িতে ঝোলানো,
রক্তে ভেজা পদছাপ হেঁটে হেঁটে চলেগেছে ঠাকুরদালানে –
কে যেন নিয়েছে খুবলে দেবতার চোখ, চূড়া, বাঁশি ...
মেঝেতে খোদাই করা – ভ্রূণহত্যা, শাস্ত্রমতে, আঠারোশো তেরো ...

বাগানে বাগানে ঘুরে খুঁজে পাই নাকছাবি,
কামসূত্র, মুগ্ধবোধ, রবীন্দ্রগীতিকা –
মাটি খুঁড়ে তুলে আনি সূর্য্য সেন,
জং ধরা স্বদেশী পিস্তল -

তারপর কূপী হাতে ঢুকে গেলে আরোও গভীরে
পেয়েযাই চোরাকোঠা –
অন্ধকারে লুকানো দেরাজ,

যদিও কঙ্কালও ছিল গোপন দেরাজে
শুধু তার হাতে সেই আকাঙ্ক্ষিত নক্সা ছিলনা  ...

ঘুম ঘর