হানাবাড়ি
নিজেকে খুঁড়তে গিয়ে প্রথমেই উঠে আসে
ছম্ছমে এক হানাবাড়ি –
ফেঁসে যাওয়া অন্তর্বাস ইতস্ততঃ দড়িতে ঝোলানো,
রক্তে ভেজা পদছাপ হেঁটে হেঁটে চলেগেছে
ঠাকুরদালানে –
কে যেন নিয়েছে খুবলে দেবতার চোখ, চূড়া, বাঁশি
...
মেঝেতে খোদাই করা – ভ্রূণহত্যা, শাস্ত্রমতে, আঠারোশো
তেরো ...
বাগানে বাগানে ঘুরে খুঁজে পাই নাকছাবি,
কামসূত্র, মুগ্ধবোধ, রবীন্দ্রগীতিকা –
মাটি খুঁড়ে তুলে আনি সূর্য্য সেন,
জং ধরা স্বদেশী পিস্তল -
তারপর কূপী হাতে ঢুকে গেলে আরোও গভীরে
পেয়েযাই চোরাকোঠা –
অন্ধকারে লুকানো দেরাজ,
যদিও কঙ্কালও ছিল গোপন দেরাজে
শুধু তার হাতে সেই আকাঙ্ক্ষিত নক্সা ছিলনা ...