প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Thursday, December 5, 2013

“এই সব দিনরাত্রি”






“এই সব দিনরাত্রি”

১।
প্রতিটি দিন নতুন শাদা পাতা –
প্রতিটি দিন উদাস খোলা খাতা –
কিভাবে কোন্‌ আখর দিয়ে তাকে
কতোটা দূর ভরিয়ে তোলা যাবে?
হাওয়ায় ভেসে দিন উড়ে যায় রাতে –
শূন্য ঘাটে, মাঝির অপেক্ষাতে ...

প্রতিটি ভোর নতুন জন্ম যেন –
প্রতিটি রাত আর জনমে পাড়ি ...
পথটি তবু ফুরায় না কক্ষনো –
সন্ধ্যা আঁকে তাল সুপুরীর সাড়ি ...

প্রতি সকাল একটি নতুন নাম,
প্রতি দুপুর আমার আরেক মুখ –
সব বিকেলে একই পথের বাঁকে
কুড়িয়ে পাওয়া নতুন দুঃখ-সুখ।।

২।
হারানো পথের মতো
আরো এক দিন শুয়ে আছে
বাঁকে বাঁকে ছায়া,রোদ
তুমুল পিপাস্‌ ঘুম নিয়ে ...
দেখে তাকে মায়া লাগে –
ভয় হয়, তবু
নিজের ছায়াটি বয়ে নিয়ে
যেতে হবে তাকেও পেরিয়ে ...

কোথায়? – জানে কী পথ নিজে?
আরো দিন, আরো আরো রাত –
আরোও পথিক গেছে ক্ষয়ে ...

৩।
আরেকটি দিন ফুরিয়ে এলো বলে
নাম না জানা তারার ছায়া জলে –
আরেকটি রাত রজস্বলা, তাই
চক্রবালে তারার মশাল জ্বলে ...

ঠিক কি’যে চাই একটি দিনের কাছে
তার কি হিসাব নদীর কাছেও আছে?
তবুও রাতে রাত্রি এলে প’রে
কি এক চাওয়া শিশির হয়ে ঝরে ...

কি আর আছে রাত্রি-দিনের কাছে?
কার খোঁজে রোজ দিন পুড়ে যায় হাটে?
কি সেই কথা নিশীথ-গাছে গাছে
আকাশ লিখে? কোন্‌ ধাঁধা, কোন্‌ সাঁটে?

কেটেছে দিন বিষাদে-উল্লাসে –
রাত্রি ডেকে নেবে কি সন্ন্যাসে?

ঘুম ঘর