সাইন্স
ফিক্শন্
একদিন সে’ই ছিল এ গ্রহের আদি অধীশ্বর।
ঢলেপড়া রৌদ্রে তার মহাবলী ছায়া
নীলনদে ভেসে গেছে আমাজন অরণ্য পেরিয়ে।
অপর আরেক গ্রহে
কিছু দিন, মাস, ঋতু, শতক কাটিয়ে
এই গ্রহে ফিরে এসে পুনরায় দেখি তাকে –
সুখে আছে।
সুখে আছে নদীতীরে শান্ত ঘর বেঁধে।
তাকে ঘিরে ধূ ধূ মাঠ –
ঢেকে গেছে লাঙ্গলের সবুজ পৌরুষে।
যদি বাদ দেওয়া যায় যুদ্ধ ও বাণিজ্যলীন
আরো কিছু শতক-কাহিনী,
তবে তাকে দেখা যাবে
বারান্দায়, আলবোলা হাতে।
মাঠ নেই, সবুজ পৌরুষ নেই, তবু
সামনে উঠান আর কিনারে সাজানো এক বাগান রয়েছে ...
রয়েছে মর্মর মূর্তি
উর্বশীর স্মৃতি হয়ে
মোরাম বিছানো লাল পথের কিনারে।
আজ
আরো কিছু শতকের কিছু
দুরারোগ্য প্রগতির শেষে
তাকে দেখি –
নিজেকে সে কেটে ছেঁটে কি সহজে পোষ মানিয়েছে
তিন কোঠা জোড়া তার
তেতলায়, ফ্ল্যাটে, ক্যাম্প্-খাটে –
যদি এই গ্রহে আমি ঘুরে আসি আজ থেকে দু শতক পরে
আরো কতো কেটে ছেঁটে নিজেকে সে কতো ‘ছোটো’ করে
বাসা নেবে আরো কতো ‘ছোটোতর’ ঘরে? ...