প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, November 9, 2014

“হে নাবিক, হে নাবিক…”

“হে নাবিক, হে নাবিক…”
“O Captain! my Captain! rise up and hear the bells;
Rise up—for you the flag is flung—for you the bugle trills”
WALT WHITMAN, O Captain! My Captain!

হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয় নাকি?”
নাবিকী, জীবনানন্দ দাশ


হে নাবিক! হে নাবিক! প্রলয়ের পরিধি পেরিয়ে
মানচিত্রে ক্রমে ভেসেওঠে
আমাদের বহুজন্ম আকাঙ্খিত দ্বীপ –
যদিও তুমুল ঝড়ে ক্ষয়েগেছে পাটাতন, খোল ও মাস্তুল
তবুও বন্দরে দেখো
অভিবাদনের মতো
তোমারি নিমিত্ত জ্বলে
সংখ্যাতীত উদ্‌যাপন-দীপ –

হে হৃদয়! হা হৃদয়! পাটাতনে তাজা এই রক্তরেখা কেন?
লহমায় হন্তারক জলের উদ্ভাসে
মুছেযায় চক্রবাল –
ইতিহাস ,  মানচিত্র –
স্মৃতি –
দশদিক –
হে হৃদয়! হা হৃদয়!
পাটাতনে গুলিবিদ্ধ
পড়েআছে প্রাণহীন আমার নাবিক!!

হে নাবিক! হে নাবিক! প্রলয়ের পরিধি পেরিয়ে
শোনোনা’কি ঘন্টাধ্বনি? দেখোনা’কি আন্দোলিত পতাকা, নিশান?
হে নাবিক! হে নাবিক! তোমার ফেরার পথ ঘিরে
পুষ্পঝড়, আনন্দিত উদ্‌যাপন-গান
ফেলে তুমি একা একা অন্ধকারে চলেযাবে না’কি?
তাহলে আমিও এই বিজয়ের যাপন পেরিয়ে
তোমার গমনপথে চলেযাবো শ্লথপায়ে – নীরব – একাকী –
অন্ধকারে প্রশ্নমালা সপ্তর্ষির প্রতিটি তারাতে –
হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয় নাকি?”






ঘুম ঘর