কোনো এক “বাবুদা” উবাচ
১।
“মধ্য চল্লিশে এসে ঘূণাক্ষরে জানি
বাঁচার তেমন কোনো লোভ আর অবশিষ্ট নেই।
তেমন দরকার নেই আত্মঘাতী হওয়ারো, কেননা
সরল সত্য এই – আমি না থাকলেও
পৃথিবীর কোনো কিছু ক্ষতি কিংবা বৃদ্ধি হবেনা –
যেমন ক্ষতি বা বৃদ্ধি পৃথিবীর আজো নেই
অনেক লোকের ভিড়ে
বেঁচে আমি বর্তে আছি বলে …
তথাপিও মাঝে মধ্যে আমি
বাধ্য হই অন্তর্গত ঈশ্বরের কাছে
ভিক্ষা করতে ছোটো ছোটো আয়ুর দ্রাঘিমা।
হাতজোড় না করেই বলিঃ “ আরো মাস দুই
আমাকে টিঁকিয়ে রাখো – এতোদিন রাখলেই যদি –
‘ফেটি লিভার’, রক্তচাপ, শর্করা ও দিশীমদসহ –
কেননা এ দুমাস আমাকে হাসপাতালে থাকতে হবে
মায়ের চিকিৎসাহেতু – তাঁর পাশে – সব বাদ দিয়ে ...
তারপরে শোধ নিও লিভারে প্রকট হয়ে সিউরোসিস্ রূপে ...
হয়তো বাজারে গেছি কোনোদিন, আর
পুরোনো বান্ধব কিংবা চেনা কোনো নেহাৎই জনতা
কাঁধে হাত রেখে বল্লো ‘গানটা ছাড়লে কেন?
কি সুন্দর কিছু কাজ তোমার গাওয়ায়...’
শোনামাত্র জানিনা কেন যে
ইচ্ছা করে কয়েকমাস বেঁচেথাকি আরো ...
এবারো টার্গেট খুব বেশী কিছু নয় –
রাধা, মানে তোদের বৌদিকে
সুস্থ করে নিয়ে যাওয়া – মা’র কাছে – হাসপাতাল থেকে –
দুমাস সময় তাই ফাউ দিতে বলেছি গোপনে
অন্ধকারে – দাহ্য দেবতাকে
... “