মুখবন্ধ, মূর্খ পাঠকের -
আর কিছু পড়বোনা।
বাকিটা জীবন ধরে
তোমাদেরি পড়ে পড়ে –( নিবিড় অরণ্যহেন হে মিল্টন –
-কালী সিংগি,দান্তে আর গ্যাটে ...
কার্তিকের জ্যোৎস্নারাতে, হে তুমি, জীবনানন্দ –
বিভূতি ও “ওবিন ঠাকুর” ...
ফাইদোর দস্তয়েভস্কি, শেক্ষপীর, সিমোনো,বঙ্কিম –
ঝড়োরাতে আশ্রয়ের শেষ অন্তঃপুর ...
“দত্তকূলোদ্ভব” “দৈত্য” – হে মাইকেল –
লাইটউসের মতো রবীন্দ্র ঠাকুর আর
ফগ্হর্ন – ঋষি টলস্টয় )
ঘুমিয়ে পড়বো ভাবি – একদিন –
-জানালার পাশে এই এলোমেলো পড়ার টেবিলে –
থাকুন অপর সিংহ, ফেউ, কুত্তা, পেঁচা ও শৃগাল
নিজ নিজ গুহাগর্ভে
পাঠক, স্তাবক আর ভাবুক বেষ্টিত –
তবু গ্রন্থ, আহা গ্রন্থ, সাইরেনের জাদুকরী সঙ্গীতের মতো
মন্ত্রবলে করেতোলে মুহুর্তেই মেষ – পুনরায় –
টেবিলে সার্ত্রে, কামু, দেরিদা ও জ্ঞানগর্ভ ম্যাগাজিন দেখে
ব্যর্থতার অন্তর্গত ব্যাপ্তি পাওয়াযায় ...