অগ্নিবন্দনা
১।
“অগ্নিমীলে পুরোহিতং যজ্ঞস্য দেবমূত্বিজম্। হোতারং
রত্নধাতমম্” – ঋগ্বেদ
এসো স্তুতি করি অদম্য অগ্নির-
যিনি প্রাণদায়ী,নৃসংশ, অস্থির,
যিনি ঋত্বিক, গোদাতা এবং পিতা
এসো লিখি তবে অগ্নির সংহিতা।।
২।
“অগ্নিঃ পূর্বেভি র্ঋষিভিরীদ্যো নূতবৈরূত। স দেবাঁ এহ
বক্ষতি” –ঋগ্বেদ
যতো পুরাতন পাপী, ঋষি, বালকেরা,
পুণ্যবান আর গণিকা নৃত্যপরা, অনাগত আর আগত সন্ততিরা
সকলেই গেছে, সকলেরই যেতে হবে
যোগ দিতে শেষে অগ্নির উৎসবে।
৩।
“অগ্নিনা রয়িমশ্নবৎ পোষমেব দিবেদিবে। যশসং বীরবত্তমম্” –ঋগ্বেদ
দেখো অরণ্য, বনানী, বনস্থালী –
ক্রমে ধুধু মাঠ, অগ্নিকে অঞ্জলি
দিয়ে আপনার ফলফুল সম্ভার।
অগ্নি স্থিতধী,করাল ,নির্বিকার।
অগ্নি আশিসে ক্রমে বিস্তৃত
কৃষকের সংসার।
৪।
“অগ্নে যং যজ্ঞমধ্বরং বিশ্বতঃ পরিভূরসি। স ইদ্দেবেষু গচ্ছতি”
– ঋগ্বেদ
হিংসারহিত অগ্নির উপাসক –
-অস্থি ও হাড় – যেন পূজা কুরুবক –
উড়েযায় দেখো অগ্নিরই বরাভয়ে
পাহাড়শীর্ষে – আকাশ-নীল-আলয়ে।।
৫।
উপ ত্বাগ্নে দিবেদিবে দোষাবস্ত র্ধিয়া বয়ম্। নমো ভরন্ত
এমসি।।৭
রাজন্তমধ্বরাণাং গোপয়ামৃতস্য দীদিবিম্। বর্ধমানং স্বে
দমে।।৮
স নঃ পিতেব সূনবেহগ্নে সূপায়নো ভব। সচস্বা নঃ স্বস্তয়ে।।৯ – ঋগ্বেদ
অগ্নিই হোতা, অগ্নিই ত্রাতা, ব্যাপ্তপ্রজ্ঞ, ধীর।
ক্রান্তদর্শী অগ্নিই ভূত, ঈশ্বর সশরীর।।
যে অঙ্গে তুমি অগ্নি, অনল – সে’ই তুমি অঙ্গার।
ভস্মও তুমি, তৃপ্তিও তুমি, প্রিয় তুমি, হাহাকার।।
প্রতি দিনেরাতে, সন্ধ্যা প্রভাতে, প্রতি পলে, অনুপলে
অজানিতে যাঁকে প্রণাম জানিয়ে প্রতিজন হেঁটে চলে
যাঁর উৎসবে – প্রেমে পরাভবে তিনিই অগ্নি – পিতা –
সন্ততিজনে লিখে মনে মনে অগ্নিরই সংহিতা।।