পিতা হে...
বৃষ্টিমশারি ফাঁক করে ধীরে ধীরে হেঁটে যায় তারা, হেঁটে চলে
ঠেলাগাড়ি নিয়ে – বাবা আর নাবালক ছেলে, হেঁকে চলে
“টম্যাটো, পেঁয়াজ, আদা” গলীতে গলীতে। এই মাত্র দৃশ্য আর
এইটুকু কাহিনী ও কথার আড়ালে সন্ধ্যা নামে। তেতলার
বারান্দা থেকে দেখি ছবি, ভাবি মনে মনে পিতা হে,
তোমার সঙ্গে দৈনন্দিন অনটন দিনে এরকম বৃষ্টি ভেদ করে
“টম্যাটো, পেঁয়াজ, আদা” হেঁকে পথে পথে কোনোদিনই
ফিরি নাই বলে সম্ভবতঃ চিনি নাই অদ্যাবধি প্রকৃত তোমাকে।
দেখি নাই ক্ষতগুলি, কোনোদিনই, হাতে, পায়ে, কাঁধে বা উরুতে।
পাখিপিতাহেন তুমি সাঁঝবেলা নীড়ে ফিরে এলে
“কি এনেছো, কি এনেছো” বলে পড়েছি ঝাঁপিয়ে শুধু –
কিভাবে সংগ্রহ করো খুদকুঁড়ো, খড়কুটো – দেখিনাই গিয়ে
কোনোদিন। আজো, জানি, দেখিব না কিভাবে আগুন,বাতাস, জল ছেনে
নিঙড়ে নাও প্রাণরস, তবে পিতাটির কিনারে কিনারে
“টম্যাটো, পেঁয়াজ, আদা” হেঁকে ঝড়ে, জলে ভ্রাম্যমান যে বালক,
হায়, সে যেন দেখতে পায়, তোমার আনন্দ মুখ আর ক্ষতগুলি
হাতে, পায়ে, পাঁজরে ও কাঁধে।