প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Thursday, September 17, 2020

শরৎ ২০২০

 শরৎ ২০২০

১।

যে পথে শরৎ আসে সে পথেই এসে পড়ে ইমন, ভৈরবী।

এসে পড়ে কাশ ফুল, স্মৃতি আর নিবিড় মালকোষ।

রামপ্রসাদের স্বর  মিশে থাকে শিশিরে শিশিরে।

যে পথে শরৎ এসেছিল সেই পথে নৌকা আর মাঝিগুলি জেনো

ফেরে নাই, ফিরিবেনা ঘরে। তবু কেউ দীপ জ্বেলে রাখে

দেউলের পরিত্যক্ত সিঁড়িতে, মাজারে।

 

যে পথে শরৎ আসে সে পথেই এসে পড়ে দুঃখ, শোক,

এ জন্মের শোকহরা বিস্মৃতির বিশল্যকরণী

শিশিরে শিশিরে ভিজে মর্মগত সকল অক্ষর

নিরক্ষর অবয়ব চেয়ে হতে চায় মায়াভরা ইমন, ভৈরবী …

 

সকালে সকল পথে হেঁটে মনেহয় কবে যেন এ পথেই ঠিক

এসেছিল চিন্ময়ী মৃন্ময় দেবী।

 

 

২।

দেবী নেই, জা্নি, তবু শরতে সকালবেলা দেখি

দেবীটির পদছাপে ভরে আছে আঙ্গিনা-আকাশ।

আমার নাস্তিকতা, অবিশ্বাস নিয়ে

দেখি কেউ দূরে

অদ্যাবধি সাজায় স্বহাতে

অপু, দুর্গা, রেলগাড়ি, কাশ।

 

 

কেউ এসে প্রকৃতই বলবে, কোনোদিন,

ভাবি

“আয়, মন, বেড়াতে যাবি …”

 

৩।

আমি নই ভৈরবীর কেউ, ইমনের আমি আর

বেহাগের, মালকোষের আমি

টেরপাই প্রতিটি শরতে

কিভাবে ভৈরবী যেন

বেজে ওঠে শিরায়, শোণিতে

অথবা যখনি বাজে

ভৈরবী, শিরায়, শোণিতে,

টেরপাই শরৎ এসেছে।

ভাবি

“আবার মোরে পাগল করে পাগল করে দিবে কে”

শিশিরের সজল শরতে …

ঘুম ঘর