শোলার বীর
মনেপড়ে সেই কবে পৌগন্ড কালের কাহিনী। আসিত যাত্রার দল
শীতরাত্রে, ইস্কুলের মাঠে, বসিত আসর। ভীষ্ম, দ্রোণ, মনু,
পরাশর
-কত সাজ, শনের শ্মশ্রুগুম্ফ, রাংতা মুকুট আর শোলা-তলোয়ার
লয়ে তারা গদ গদ ডায়ালগে, গানে, বক্তৃতায় সশরীর দেবযোনি যেন
…
তথাপি হুঁকাটি কিংবা গঞ্জিকার অমোধ ‘তলবে’ হ্যাজাকআলোটি
থেকে
সামান্য আড়ালে এসে, তাঁবুর বাহিরে, ‘হারু’, ‘জগা’, ‘কালু’, পুনরায়।
শনের শ্মশ্রুগুম্ফ, রাংতা মুকুট, অসী গড়াগড়ি যায়, হায়, সাজঘরে,
শতরঞ্জে অথবা ধূলায়। ভাবি, সেই শোলার ভীষ্ম-দ্রোণ -অর্জুন
যদি
গঞ্জিকার ঘোরে, মৌতাতে সহসা আপনাকেই প্রকৃতার্থ মহারথী জ্ঞানে
আস্ফালন করে উঠে বলেঃ “কে লড়িবি, আয়,
অদ্য, ধর্মযুদ্ধ, রে পামর,
অর্বাচীন, মফস্বলি ইস্কুলের মাঠে” – তাহলে দর্শকদল
কিভাবে বিদায়
করিয়াছে, করে সে আপদে? রাংতা-মেডেল দিলে মানে যদি, ভালো,
অন্যথায় অর্ধচন্দ্র? হায়, সম্ভবতঃ সেই হয়, শেষতম অমোঘ উপায়
…
শনের শ্মশ্রুগুম্ফ, রাংতা মুকুট, অসী গড়াগড়ি যায়, উদাসীন,
কালের ধূলায় …