তুমিও তোমার সেই পাখি-জাহাজের ছবি
নিরুদ্দিষ্ট যুবতীর শেষ চিঠি হেন ফেলে গেছ একটি পালক
সৈকতের মত ছাতে । সন্ধান-সূত্র নয় , যাত্রার
দুঃসাহসী অবলীল পত্র হিসাবে । - যেভাবে আঘাটা থেকে
নৈশ-নাবিক হেঁকে ওঠে " যাবে ? কেউ যাবে –
নক্ষত্র কম্পাস দেখে - চক্রবালের বাঁধ আস্পর্ধায় ছিঁড়ে --
যাবে কেউ নীল এই পাখি-যাওয়া পথে "?
#
পত্রপাঠ পৃথিবীর প্রতিটি সাগর হানা দেয় শিরায় , শোণিতে।
আজন্ম গমন-সাধ ঢেউ হয়ে আছ্ড়ে পড়ে জন্মগত মৃত্তিকায় , তটে ।
কালপুরুষের মত বৈঠা হাতে তুমি দাঁড়াও আড়াল করে
পিছুটান , ক্ষতস্থান , গোলাবাড়ি , অক্ষর আর অক্ষ, দ্রাঘিমা –
সম্মোহিতের মত বন্ধ চোখে দেখি
জাহাজ এসেছে এক আঙিনায় , উঠোন পেরিয়ে ।
#
অথচ নোঙ্গর-দড়ি যখনি নিজের হাতে কেটে দাও তুমি
পৃথিবীর প্রতিটি সাগর আতঙ্কের দৃষ্টিহীন সহোদরা হয়ে
হানা দেয় শিরায় , শোণিতে। চক্রবাল-বাঁধা ছিঁড়ে
তোমার জাহাজ যায় দূরে । আমি ও ইভলিন
ফিরি
পায়ে পায়ে পোষা আর পঙ্গু অন্ধকারে...
#
তুমিও তোমার সেই পাখি-জাহাজের ছবি , এলে দেখে যেও ,
দেওয়ালে রেখেছি এঁকে – নিজ হাতে – যত্ন সহকারে ।।