“...”... গৃহত্যাগ
ইয়াও’র বিড়াল ‘মিল্ক’
ইয়াও’কে দেখেছিল তার
জুয়াড়ি, মাতাল, পতিদেব
কেঞ্জি’কে খুন করতে, যে খুন
কোনোভাবেই
পূর্বপরিকল্পিত
ছিলনা, তথাপি
গলায় ফাঁস দিয়ে এই হত্যার এই
একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী
‘মিল্ক’, গৃহত্যাগী হলো। ‘গৃহত্যাগী’’ তবে
“রাঙা মামীমা”র মতো
“সন্তর্পণ” , “খাল”, “সাঁকো” , “ছড়ানো পালক”
ইত্যাকার শব্দ ও শব্দবন্ধ
না ছড়িয়ে, এক দৌড়ে
বাড়ি ছেড়ে গেলো, আর
কখনো ফিরলো না। মিকু, আমাদের
ছোট ছেলে, পাঁচ বছর
বয়স যার, বোটানি-জুলজি-সাইন্স
সাইকোলজি মতে
সে'ও এক বিড়াল আর
এক রাত্রে দরজা খোলা পেয়ে
সে'ও যে বেরিয়ে গেলো, আজো
ফিরলোনা। জানিনা
ফিরবে কি'না, জানিনা
এ “গৃহত্যাগ” কি'না। তবে
যদি “গৃহত্যাগ” হয় –
তাহলে জানিনা
আমাদের এ “হাম দো, হামারে দো” —-
ফ্ল্যাট-সংসারে
কার খুন কার হাতে, কবে হ'তে দেখে
এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো
মিকু।
–---