
বার্ষিকীতে উজ্জ্বল ও ধুন্ধুমার বিবাহ গুলির
সম্বৎসর উদযাপিত পরস্পর হাড়ের আগুনে
ডিজিটাল ওভেন জ্বালিয়ে। ঠান্ডা হতে
এসি লাগে, উইক-এণ্ড আউটিং আর
ইস্কন-ভক্তি-কেক, ডিম ছাড়া, প্রয়োজন
হয়। অতঃপর, ঘুরলে বছর – বার্ষিকী,
ধুন্ধুমার, আবার আবার, পাঁচতারা আলো
করা বুফে, বাফে অথবা বুফেট। ফিরে
ই-এম-আই যোগ্যতা লব্ধ
প্রাসাদের খোপে
মেকাপ, লিপস্টিক, টাই, ব্রেন্ডেড জাঙ্গিয়া
পেন্টি —- খোলামাত্র পরস্পর অযৌণ ঘর্ষনে
মোমের ফোঁটার মতো টুপটাপ ঝরে
উভয়ের সাদা ফসফরাস। ফসফরা-পোড়া দাগ
মেকাপে, আস্তিনে ঢেকে পরদিন
“হাম দো, হামারা দো” —- আবার আবার। ঠিক যে রকম ঘটে –
বৈশাখ পঁচিশ কিংবা অগাস্টের পনেরো
তারিখে আর
তারপর দিন আর তারপর, তারপর —- জয়ন্তী, বার্ষিকী ফের
না-আসা অবধি। এ সকল দেখে এক সার্কাস-ছাঁটাই সং
সং'এর মতোই ভাবে, । কবে
প্রতিটি বিবাহ হবে
প্রতিদিন উদযাপন, যাপন-বার্ষিকী রোজ
মোমের আলোতে? কবে
প্রতিদিনই হবে
পঁচিশে বৈশাখ, চুপে,
সুরে ও শোণিতে?