সান্ধ্য-বাস কথা
–-----------------
সারা গা'য়ে ভিড়, উঁকিঝুঁকি, ঠেলে
আগে নামবার চেষ্টা নিরত মানুষ-প্যাসেঞ্জার
নিয়ে সন্ধ্যার বাস গুলি ঢোকে। যেন মৃত
মহিষের গা'য়ে, বাদুড়-দঙ্গল আর
ভনভনে ডাঁশ ঝুলে আছে। সামান্য
দূরত্বে দাঁড়িয়ে শরীর ঘিনঘি। একে একে
মানুষ-প্যাসেঞ্জার সব নেমে গেলে পরে
বাসের যাত্রী বলতে শুধু সীট গুলি। এ আহ্লাদে
লাইটরাও —- নীল, মোলায়েম। চিহ্ন, সব
বাদুড় ও ডাঁশের —- বাতাস আলোর সাথে মিলে
ধুয়েমুছে দিলে মনে হয় —-
এ এক স্বপ্নের পথে
পাড়ির প্রস্তুতি। তখন রাত্রির বাস
আমাকে নিশির মতো
ডাকে। ভিনগ্রহে যেতে
প্রথম যাত্রী হই বাসে। জানি আর
পাঁচ মিনিট। তারপরই মৃত মোষ —-
সারা গা'য়ে ডাঁশ ও বাদুড়
ভরে নিয়ে, ঝাঁপ দেবে মানুষের এ
গ্রহের পথেই। তাই
তাড়াতাড়ি চোখকান বন্ধ করে ফেলি
ফাঁকা বাসে বসে।
–-----
বিষয়ঃবার্ষিকী
–-----------
বার্ষিকীতে উজ্জ্বল ও ধুন্ধুমার বিবাহ গুলির
সম্বৎসর উদযাপিত পরস্পর হাড়ের আগুনে
ডিজিটাল ওভেন জ্বালিয়ে। ঠান্ডা হতে
এসি লাগে, উইক-এণ্ড আউটিং আর
ইস্কন-ভক্তি-কেক, ডিম ছাড়া, প্রয়োজন
হয়। অতঃপর, ঘুরলে বছর – বার্ষিকী,
ধুন্ধুমার, আবার আবার, পাঁচতারা আলো
করা বুফে, বাফে অথবা বুফেট। ফিরে
ই-এম-আই যোগ্যতা লব্ধ প্রাসাদের খোপে
মেকাপ, লিপস্টিক, টাই, ব্রেন্ডেড জাঙ্গিয়া
পেন্টি —- খোলামাত্র দেশলাই জ্বলে –
পরস্পর অযৌণ ঘর্ষনে। ঠিক যে রকম ঘটে
বৈশাখ পঁচিশ কিংবা অগাস্টের পনেরো
তারিখে। কবে
প্রতিটি বিবাহ হবে প্রতিদিন
উদযাপন, যাপন-বার্ষিকী রোজ
মোমের আলোতে? কবে
প্রতিদিনই হবে
পঁচিশে বৈশাখ, চুপে,
সুরে ও শোণিতে?
–----