প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, February 22, 2025

দুটি লেখাঃ সান্ধ্য-বাস কথা আর বিষয়ঃবার্ষিকী

 





সান্ধ্য-বাস কথা

–-----------------

সারা গা'য়ে ভিড়, উঁকিঝুঁকি, ঠেলে

আগে নামবার চেষ্টা নিরত মানুষ-প্যাসেঞ্জার 

নিয়ে সন্ধ্যার বাস গুলি ঢোকে। যেন মৃত 

মহিষের গা'য়ে, বাদুড়-দঙ্গল আর

ভনভনে ডাঁশ ঝুলে আছে। সামান্য

দূরত্বে দাঁড়িয়ে শরীর ঘিনঘি। একে একে

মানুষ-প্যাসেঞ্জার সব নেমে গেলে পরে

বাসের যাত্রী বলতে শুধু সীট গুলি। এ আহ্লাদে 

লাইটরাও —- নীল, মোলায়েম। চিহ্ন, সব

বাদুড় ও ডাঁশের —- বাতাস আলোর সাথে মিলে

ধুয়েমুছে দিলে মনে হয় —- 

এ এক স্বপ্নের পথে

পাড়ির প্রস্তুতি। তখন রাত্রির বাস

আমাকে নিশির মতো 

ডাকে। ভিনগ্রহে যেতে

প্রথম যাত্রী হই বাসে। জানি আর 

পাঁচ মিনিট। তারপরই মৃত মোষ —-

সারা গা'য়ে ডাঁশ ও বাদুড় 

ভরে নিয়ে, ঝাঁপ দেবে মানুষের এ

গ্রহের পথেই। তাই 

তাড়াতাড়ি চোখকান বন্ধ করে ফেলি

 ফাঁকা বাসে বসে।

–-----








বিষয়ঃবার্ষিকী

–-----------

বার্ষিকীতে উজ্জ্বল ও ধুন্ধুমার বিবাহ গুলির

সম্বৎসর উদযাপিত পরস্পর হাড়ের আগুনে 

ডিজিটাল ওভেন জ্বালিয়ে।  ঠান্ডা হতে

এসি লাগে, উইক-এণ্ড আউটিং আর

ইস্কন-ভক্তি-কেক, ডিম ছাড়া, প্রয়োজন 

হয়। অতঃপর, ঘুরলে বছর – বার্ষিকী, 

ধুন্ধুমার, আবার আবার, পাঁচতারা আলো 

করা বুফে, বাফে অথবা বুফেট। ফিরে 

ই-এম-আই যোগ্যতা লব্ধ প্রাসাদের খোপে 

মেকাপ, লিপস্টিক, টাই, ব্রেন্ডেড জাঙ্গিয়া

পেন্টি —- খোলামাত্র দেশলাই জ্বলে –

পরস্পর অযৌণ ঘর্ষনে। ঠিক যে রকম ঘটে

বৈশাখ পঁচিশ কিংবা অগাস্টের পনেরো 

তারিখে। কবে 

প্রতিটি বিবাহ হবে প্রতিদিন

উদযাপন, যাপন-বার্ষিকী রোজ

মোমের আলোতে? কবে 

প্রতিদিনই হবে

পঁচিশে বৈশাখ, চুপে, 

সুরে ও শোণিতে?


–----


ঘুম ঘর