সান্ধ্য-বাস কথা
সারা গা'য়ে ফুট পাঁচড়া। তা'ও
ভিড়, উঁকিঝুঁকি, ঠেলে ঠুলে অন্যের আগে
নামবার চেষ্টা নিরত যারা, তারা
মানুষ-প্যাসেঞ্জার। তাদের নিয়েই
সন্ধ্যার বাস গুলি এসে ঢোকে
পাড়ার ডিপোতে। যেন মড়া
মহিষের গা'য়ে বাদুড়-দঙ্গল আর
ভনভনে ডাঁশ ঝুলে আছে। সামান্য
দূরত্বে দাঁড়িয়ে
শরীর ঘিনঘন । একে একে
মানুষ-প্যাসেঞ্জার সব নেমে গেলে পরে
বাসের যাত্রী বলতে
শুধু সীট গুলি। এ আহ্লাদে
অন্দরের লাইটরাও তৃপ্ত, নীল,
মোলায়েম। চিহ্ন, সব
বাদুড় ও ডাঁশের —- বাতাস, আলোর সাথে মিলে
ধুয়েমুছে দিলে, মনে হয়, এ এক স্বপ্নের পথে
পাড়ির প্রস্তুতি। তাই ও তখনই রাত্রির বাস, বাস গুলি
আমাকে নিশির মতো
ডাকে। ভিনগ্রহে যেতে চেয়ে
প্রথম যাত্রী হই সাময়িক অবাস্তব বাসে। জানি আর
পাঁচ মিনিট। তারপরই মড়া মোষ —-
সারা গা'র ফুটপ্যাঁচড়া ধরে
ঝুলে যাবে ডাঁশ ও বাদুড় আর
এ সকল নিয়ে, এই মানবিক বাস
ঝাঁপ দেবে মানুষের এ
গ্রহের পথেই। তাই
তাড়াতাড়ি চোখকান বন্ধ করে ফেলি
ফাঁকা বাসে বসে।
–-----