প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Saturday, March 1, 2025

যে “লেখক”, তাকে

 যে “লেখক”, তাকে



সূত্র বলতে শুধু একটি রেফ্রিজারেটর। তা'ও

বন্ধ। যেন মুখ বেঁধে তাকে রেখে গেছে কেউ। না'কি

যে বেঁধেছে, সে'ই মুখামুখি বসে বুনে যাচ্ছে জাল? জাল,

তার নিজেরই লালায়, তবু, সে'ও ভীত বুননের

পরিশ্রমে, সূক্ষ্ম কারুকাজে। অথচ বুনে যেতে হবে

তাকে, অন্তত নিজেকে ভোলাতে, অন্যমনস্ক 

রাখতে। কারণ এই রেফ্রিজারেটরে কি যে আছে, অন্যথায় 

কিচ্ছু নেই —- এ গূঢ় খবর যারা জানে, যে কোনো 

মুহুর্তে তারা সর্পিল এই সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসতে পারে

অতর্কিত ইউ-টার্ণ নিয়ে। খুন যদি না'ও করে

গুম করতে পারে সহজেই। নিচের দোলনা ঘিরে তারা

যতোক্ষণ মশগুল থাকে, ততোক্ষণই আয়ু

তার। এই আয়ুটুকু উদযাপন করে নেবে বলে

এই জাল। এই জাল-বোনা। এ বিপদ নিজেই ডেকেছে

তবু, বন্ধ-ফ্রিজ সূত্রটিকে ফেলে আসা ছাড়া

তারও কোনো উপায় ছিল কী? –--- সদুত্তর

জং-ধরা দোলনাও কি জানে?


[ শুভ্রজ্যোতি ভট্টাচার্যের  “Whispers  on the midnight swing and other Stories”

পড়তে পড়তে ]

–----

ঘুম ঘর