প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, March 9, 2025

ইচ্ছা হয়, তবুও ভয়

 ইচ্ছা হয়, তবুও ভয়


একেক দিন যাপন-ঋণ

শুধিয়া বহে হাওয়া

সে-সব দিন বাঁধনহীন

তোমার পথে যাওয়া

পথ-বিপথ ধূলার রথ

পাতার শিশু-হাসি

ইচ্ছা হয় তবুও ভয়

“তোমায় ভালবাসি”

বলার খুব। সমূহ ক্ষোভ

কুশাংকুর, পায়ে

বিঁধেছে কতো, তবুও ক্ষত

শুকিয়ে দিয়ে হাওয়া

এনেছে দিন, একটি দিন

তোমার কাছে যাওয়ার।



জানি হে তুমি ত্রিপাদ ভূমি

প্রলয় পয়োধিও

অন্য দিন স্মৃতি-বিহিন

একটি দিন দিও

বাড়িয়ে হাত প্রাণের হাট

দেখাতে নিয়ে যেও

সে পারাবার পাড়েতে যার

ছেলেরা করে খেলা

সেখানে চুপ কথায় হোক

দুজন মিলে মেলা।

দেখো কি হায়, সময় যায়

ডানার তার থেকে

এক পালক রথ চালক

পুকুর-ধারে রেখে 

জানিয়ে যায়  দিন ফুরায় 

রাত-টি এলো বলে

ভালবাসার কথা কি আর

লুকিয়ে রাখা চলে?

ইচ্ছা হয়?  তাহলে ভয়

“তোমায় ভালবাসি”

জানাতে কেন? আজকে-দিনও 

যদি হে যায় বৃথা

আবার কবে আসিবে, হবে

এমন দিন, ফিরে? 

যাও হে যাও খুলিয়া দাও

পিঞ্জর, শুকটিকে 

বলিতে দাও যে কথাগুলি

বলোনি কোনোদিন।

হাওয়াকে দাও শুধিতে আজ

যাপন-গত ঋণ।


যদি হে এই  চিঠিটি দিই

হাওয়া-দূতের হাতে

করিবে পাঠ? পত্রপাঠ 

বুঝিবে  রেখা গুলি

কেবলই দাগ, কলংকের 

যদিও হয় তবু

নহে, সে নয় বাকল বৈ 

  অন্য আর কিছু

ছাল-বাকল হয় বদল

তবুও গাছ একই  

এবং শিকড়, ফুল-ফলে

বাতাস এলে

হাওয়ার দোলে   একটি নামই বলে।

সে নামখানি

ত্রিপাদ ভূমি  প্রলয় পয়োধিও।

পত্রপাঠ

না পেলে টের,  বাতাস, বলেদিয়ো

যে কথা বলা,

যা কথা বলা   কাল যাবেনা আর

আজই দিনযা

যাপন-ঋণ  ছিল হে শুধিবার।।


ঘুম ঘর