৫৩ পার হয়ে ৫০ পেরোনো পত্নীকে
আমাকে যেয়োনা ছেড়ে। ধুধুমাঠ কিংবা রাজপথে
ভারসাম্য রাখতে পারবোনা হাত ছেড়ে দিলে। হাত
ছেড়ে দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়বো — সম্মুখ সমরে হত
বীরবাহু বীর চূড়ামণি কোনো সৈনিকের মতো নয়, বাচ্চুদার
কোপে মাটিতে লুটিয়ে পড়া খালপাড়ে অসহায় কলাগাছ
হেন। হাত ছেড়ে দিলে ছিটকে মাটিতে পড়বো আর এই
ভিড়, মেলা-ভিড়, খেলামাঠ-ভিড়, পায়ে পিষে চলে যাবে –
ফিরেও দেখবেনা। অর্থাৎ সরল ভাষায়, সত্য এই, আমি
বাঁচবোনা, বাঁচতে পারবোনা — হাত ছেড়ে দিলে। হাত
ছেড়ে দিলে পায়ের তলার ঘাস ছদ্মবেশ — শ্যামল, নরম —-
ত্যাগ করে প্রকৃত মূর্তি ধরবে। অগ্নি-গিরি মুখ থেকে
উগড়ে দেবে বিষাক্ত সর্পিণী, বিষ, পলকে ছড়াবে রক্তে,
শিরায়, মগজে। হাত ছেড়ে দিলে, সত্য এই, জীবনধারণ
দূরস্থান, আমার হিম্মত নেই উঠে দাঁড়ানোরও। অনেক
শতক ধরে হিম্মত জুটিয়ে আজ আমার এ ডরের সত্য
অক্ষরে ব্যক্ত করতে সক্ষম হয়েছি তবে, কাল,
আগামীকাল, জানিনা থাকবে কিনা এ হিম্মত, আর
কোনোদিন এ হিম্মত না'ও ফিরতে পারে, তাই
লিখে রাখি সবই আজ রাতে।
–-----