প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Sunday, December 21, 2014

বন্ধুদের মিস্‌ড্‌কল্‌ ও টেক্সট্‌ মেসেজগুলি …

বন্ধুদের মিস্‌ড্‌কল্‌ ও টেক্সট্‌ মেসেজগুলি …
রাষ্ট্রায়ত্ব শোকেতাপে ঘাড় গোঁজ করে থাকা তিনরঙ্গা পতাকার মতো
আমার মোবাইল ফোন ৩৬৫ দিনই সাইলেন্ট্‌ মোড্‌ এ রাখা থাকে।

কখনো অফিস থেকে ফিরেআসা পথে অথবা রাত্রির শেষ সিগারেট মুখে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একে একে খুলেদেখি
বন্ধুদের মিস্‌ড্‌কল্‌ ও টেক্সট্‌ মেসেজগুলি …

তারপর ফোন করবো, মেসেজ পাঠাবো ভেবে ভেবে
ভাবনা দূরে চলেযায় আমাকে বারান্দায় একা অন্ধকারে রেখে …

কখনো এ ফোন যন্ত্রটিকে মনে হতো পারাপার, সাঁকো –
মনেহতো তারি কৃপাবশে পেরিয়ে এসেছি যেন প্রকৃতই অন্তহীন পথ …
মনেহতো যেন প্রকৃতই মুখোমুখি বসে আছি বন্ধুর কিনারে সেই নদীটির ধারে …

ইদানীং বন্ধুদের ফোন দেখলে ভীত হই…বেদনার্ত হয়েউঠি নিজেরি আড়ালে –
কেননা এখন এই ফোন যন্ত্রটিকে পারাপার, সাঁকো নয় – মনেহয় সে অক্রূর দূতী –
প্রতিটি বাক্যে, শব্দে, টেক্সটের প্রতিটি যতিতে
সে জানায় কি অগাধ নদী
বয়েযায় বন্ধু আর আমার এই অস্তিতের মধ্যবর্তী উপত্যকা জুড়ে …

তাই আমি কথাগুলি, এস্‌এম্‌এস্‌গুলি যেদিন সাক্ষাৎ হবে সেদিনের তরে
লিখেরাখি অন্ধকারে – জোনাকির নিবিড় অক্ষরে –

যদি দেখা না’ই হয় আর তবে সেই কথাগুলি তুমি

খুঁজেপাবে জলেডোবা পৃথিবীর শেষ ডাকঘরে।।

ঘুম ঘর