নীরবতা, নীরবতা চেয়ে ...
আর নয়, ত্যাগ করো এবারে আমাকে –
লুকোচুরি খেলা শেষ, তবু
খুলবো না আমি আর বন্ধ দুই চোখ ...
এইবারে আমি শুধু নীরবতা চাই –
আর চাই উৎসগত কিছু সূচীমুখ ...
একটি শিকড় ছুঁয়ে মমতার মায়া অন্তহীন –
আরেক শিকড় ছুঁয়ে হেমন্তের হরিদ্রাভ দিন –
– আমাকে পেতেই হবে – কেননা নিভৃতে
আমার মর্মমূলে ঝরাপাতা – ম্লান, বর্ণহীন –
নিয়ত না ওড়ে যদি তাহলে চেতনা
রক্তহীন হতে থাকে – হানাদেয় বিগত বেদনা ...
তৃতীয় শিকড়ে থাক্ শীতঋতু, কুয়াশা, তুষার –
অরণ্যে শীতের রাতে ভালোলাগে শরীরে জড়াতে
কম্বলের মতোকরে লেলিহান আগুন আমার ...
আর চাই সেই দাহ – নিদাঘের – তীব্র রুদ্রতার –
এবং অন্তিমে চাই অতলান্ত তোমার দু চোখ –
এ যেন না চেয়ে চাওয়া সর্ববিধ সুখ ...
আমাকে এটুকু দিয়ে
তোমাদের ইচ্ছা হলে পারো চলেযেতে
যদিও বুজেছি চোখ তবুও নিভৃতে
মৃত্যু নয় জীবনের স্পর্শ চাই আরো ...
গহনে ছড়াতে চাই আরো দূর
শিকড় প্রগাঢ় ...
আজ থেকে মাঠে নয় – বীজগুলি অংকুরিত আমারি গহনে –
প্রতিটি ঘাসের গর্ভে আমারি মর্মের আলো চুপে, সঙ্গোপনে
মিশেযাবে ধীরে ধীরে ... শান্ত লয়ে ... আর
আমি যেন ছায়া হবো সেই দীর্ঘিকার
অন্ধকার দেহে যার রাত্রি যায় শব্দহীন তারাফুল রেখে –
যখন একাকী রাত্রি বয়েযায় যাওয়ার আবেগে ...
তাই আজ ত্যাগ করো সমূলে আমাকে...
নিজ জন্মদিন ঐ পুনর্জন্ম নেবে বলে
দেখো ঐ অন্তরালে ডাকে ...
[ উৎস পাবলো নেরুদা’র “ ‘এম আস্কিং ফর সাইলেন্স”]
১৮/০৭/২০১১ – ২০/০৭/২০১১