অক্ষৌহিনী
জোনাকি সেনাকে
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
নভেম্বর ২০১২ –
কেবলি ফেরার দিন গুনি,
দাগ কাটি গুহার দেওয়ালে –
আসলে যায়না ফেরা, জানি
অসম্ভব একই নদীজলে
দুইবার স্নান করা, তবু
স্বপ্নে জাগে পরাহত
গৃহপথ খানি...
গৃহপথ –একটি ঠিকানা ...
কোনো ডাক হরকরা যেই গৃহটি চেনেনা
ঠিকানা কি নেই সে গৃহের?
যেখানে নিয়ত আসে রাশি রাশি চিঠি ও সন্দেশ
সে’কি গৃহ? না’কি শুধু রচিত ঠিকানা?
এ সকল দ্বিধা আর প্রশ্ন পারহয়ে
প্রতিরাতে একই ঘরে ফিরে
টের পাই এই কক্ষ গৃহপথ –একটি ঠিকানা,
পথ ভুলে পাখি আর পাতা আসে ঢের –
শুধু সেই নিরুদ্দিষ্ট রাখাল আসেনা ...
হেঁতাল অক্ষরে
এভাবে ভিড়ের মধ্যে একা করে দিয়ো
প্রতিদিন, যদি পারো প্রতিটি পলকে
শুনিয়ো তোমার গান – যানজটে, বিষাদ-সন্ধ্যায়
শ্মশানবন্ধু হয়ে নতমুখে যখন চলেছি
ভগিনীর দেহ নিয়ে পাপে তাপে নুয়েপরা কাঁধে ...
এভাবে ভিড়ের মধ্যে একা করে দিয়ো
প্রতিদিন, শুনিয়ো তোমার গান যখন চন্ডাল
অস্তিত্বের সীমা আঁকছে হেঁতাল অক্ষরে –
‘প্রাণ আছে’ শুধু এই খন্ডবাক্য খানি
লিখে দিয়ো নিভৃত শিকড়ে ...