অন্ধকারে –
একা, তবু
ততো একা নয়
যতোটা একাকী
হলে
ঝাঁপ দিতে
হয়
ট্রেনের
চাকাতে কিংবা
খাদের অতলে
...
একা, তবু
ততো একা নয়
যতোটা একাকী
হলে
চোখ বুঁজতে
ভয় –
অন্ধকারে।
জোনাকের বাড়ির কবিতা ...
জোনাকের
বাড়ির পিছনে
নদী নেই, ধূ
ধূ মাঠ, পেরিয়ে জঙ্গল,
স্বপ্নে তবু
তাদের বাড়িতে
যতোবারই যাই
দেখি নদী,
পার নেই,
পারাপার নেই –
জোনাকের
বাড়ি থেকে
যতোবারই
ফিরে আসবো ভাবি
ততোবারই শেষ
ট্রেন ছেড়ে চলে যায় ...
অথচ ষ্টেশন
নেই জোনাকের গাঁয়ে ...
বিশ বছর আগের একদিন ...
কলেজে
সরস্বতী পূজো। বেশ রাত।
রাস্তাঘাটে
রিক্সা নেই। লোকজন নেই।
‘সেগেন্
শো’ ও শেষ বলে
রাধা-দুর্গা
মুখোমুখি ঘুমে, অন্ধকারে।
আমরা ক’জন
শুধু কলেজে এসেছি
পূজো দেখতে।
দলবেঁধে। রাতে।
কলেজের
কোঠাগুলি, বারান্দা ও গার্লস্ কমন্রুম
ঘুটঘুটে
অন্ধকার তবে
দোতলায়
জ্বলে আছে সাড় সাড় মাটির প্রদীপ,
কেননা আসলে
আজ সরস্বতী পূজো নয়,
আজ দীপাবলী –
কি করে এমন
হলো ভাবার আগেই
তপু এসে
সটান হাজির।
সেই খোঁচা
খোঁচা দাড়ি, সেই চোখ,
ঠোঁটে মৃদু
হাসি ও মাস্তানি –
‘এবারের
সেক্রেটারি আমি, মদ ফদ অঢেল রয়েছে,
জলদি চল্,
হোষ্টেলে মাংস রান্না হবে’ –
তপুর সঙ্গে
সঙ্গে কলেজের গেইটে যেতেই
কে যেন হঠাৎ
বল্লেঃ ‘ তপু, তুই এখানে কি করে?
হীরা আর পান্নার
হাতে
তুইতো অনেক আগেই
খুন হয়েছিলি’ –
হো হো করে হেসে
ওঠে তপু
তার সেই মার্কামারা হাসি
‘ সে’ত আজ বিশ
বছর হবে,
এসব পুরোনো কথা
মনে রেখে কোনো
লাভ আছে? ...’
লাভ নেই। ঘুম
ভেঙ্গে বুঝি
বিশ বছর আগে
তপু
পুড়ে গেছে বলে
আজো পারে স্বপ্নে
হানা দিয়ে
টেনে নিতে কলেজে,
পূজোতে ...
আমরা বৃদ্ধের
দলে মিশে যেতে যেতে
স্বপ্ন ভেঙ্গে
জেগে আরো
বোকা বনে যাই।