সাঁকো
১।
প্রতিটি বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যায়,
এভাবেই, পরের বর্ষায় –
অতঃপর দ্বীপগুলি নিমেষান্তে দিকচিহ্নহীন,
কেবলি স্বপ্নে ছাড়া থেমে যায় সব পারাপার ...
অথচ এখানে ছিল যত্নে সাজানো এক বাগান, পৃথিবী –
সাঁকোটি পেরিয়ে এসে দ্বীপ থেকে চক্রবাল দেখে
মনে মনে প্রত্যেকেই রবিনসন্ ক্রুশো –
অভিজ্ঞতা বিনিময় করে
মেলায় সার্কাস তাঁবু গড়েছে কতোই ...
সাঁকো ভেঙ্গে গেছে বলে
ডুবে গেছে দ্বীপ, মহানীলে –
রবিনসন্ ক্রুশো সে’ও দ্বীপটির সাথে
ডুবে গেছে তবু
পুনরায় সেই দ্বীপে যেতে সাধ জাগে ...
২।
হাঁ করা পার্বত্য খাদ পেরোনোর আগে
গ্রামের পাহাড়ি নদী পেরোনোর কাজে
ব্যবহৃত সাঁকোগুলি – মনেপড়ে – আজো মনেপড়ে –
এ জীবনে বহু খাদ পেরিয়ে এসেছি
নানা ব্রীজে অথবা জাহাজে –
ব্রীজগুলি ভেঙ্গে গেছে বলে
এ জীবনে বহুখাদ পারিনি পেরোতে –
তবু জানি পথে আছে আরো খাদ, আরো ব্রীজ, তবে
অমন বাঁশের সাঁকো আর নেই জীবনে কোথাও—
এমন সহজ শুয়ে
গ্রামের আঙ্গিনা থেকে জীবনের চক্রবালটিকে
দেখানোর মতো সাঁকো গুলি
দুঃসংবাদে অকস্মাৎ ভেঙ্গে গেলে পরে
মনেপড়ে কৈশোরের
পাড়াগাঁ’র ইস্কুলের স্যারেদের মুখ ...
সেই সব সাঁকো নেই তাই
গ্রামে ফেরা এ জীবনে কখনো হবেনা ...
[ আমাদের শিক্ষক শ্রী দিলীপ পাল চৌধুরি’র মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ...]
২২/১১/২০১২