পথিক,
গোধূলিছায়া ...
সকল
গোধূলিছায়া পারহয়ে চলে যাচ্ছে একলা পথিক,
ঐ সে পেরিয়ে
গেলো গ্রামসীমা, দীঘি ও শ্মশান ...
ঐ সে পেরিয়ে
যাচ্ছে একবাঁশে শায়িত সাঁকোটি –
ঐ তার ছায়া
কাঁপছে পাথর ডিঙ্গিয়ে চলা নদীটির জলে ...
কোথা থেকে
এসেছে সে, কোন দেশে যাবে জানানেই সেসব কিছুই,
শুধু জানি
সে চলেছে গোধূলিছায়ার সাথে যুগল-গমনে ...
আর জানি
পাথর ডিঙ্গিয়ে চলা নদীটির জল
তার এই
ছায়াটিকে ঠিক পৌঁছে দেবে
কোনোদিন –সত্য
কোনো সাগরের জলে –
২৩/১১/২০১২
অক্ষৌহিনী
জোনাকি সেনাকে
সকল উৎসব
গুলি শেষ হয়ে গেলে
উৎসবের টানে
আসি
কুয়াশায়,
স্মিত অন্ধকারে –
এখানে নিঝুম
রাতে
আঁশশ্যাওড়ার
বনে চলে আসে চাঁদ –
এখানে নিঝুম
রাতে পূর্ণিমা, অমাবস্যা নেই –
এখানে
চাঁদের টানে
উঠে আসে
ভেসে যাওয়া প্রেত ও প্রতিমা –
উঠে আসে
চালচিত্র, ঢাকী ও পূজারী –
রামপ্রসাদ
সেন এসে লালনের সাথে
শোনান নতুন
গীত
অক্ষৌহিনী
জোনাকি সেনাকে –
উৎসবের চিঠি
নিয়ে
পুড়েযায়
জোনাকি সেনারা ...
২৩/১১/২০১২
“অচিন
রাগিণী”
যে রোদ
পিছুটানের মতো
তারি কাছে
তোমার ঠিকানা,
গ্রীষ্ম
বর্ষা আর শরৎ পেরিয়ে
শীত ও বসন্ত
নামে দুইজন রাজার কুমার
তোমাকে
খুঁজতে খুঁজতে এখনো হয়রান –
কবে তুমি
দোক্তা দিয়ে পান খেয়েছিলে,
কোন্
চাঁড়ালের ছেলে জুল্জুলে চোখে
দেখেছে
তোমার স্নান বাগ্দীদের পুরোনো পুকুরে
– সেইসব কাহিনী এখনো
বৌ’ঝিদের
বেঁধে রাখা ঢিলের মতন
ঝুলে আছে
অশ্বত্থের ডালে ...
আমিও সকাল
থেকে হেঁটে হেঁটে এসে
নিঝুম
দুপুরপুরে এসেছি এখনি,
রোদ ঢল্লে
ফের হেঁটে হেঁটে
এই গ্রাম
পেরিয়ে গেলেই
মনেহবে এ’ই
ছিল
তোমার
ঠিকানা –গ্রাম –ভিটে ও বসত –
আমি ফিরে
তাকাবো পিছনে,
মনে হবে
তুমি যদি ফিরে আসো তবে ...
তখনো তোমার
পথ এভাবেই ঢেকে থাকবে
পিছুটানের
মতন রোদ্দুরে ...
২৩/১১/২০১২