বৃত্ত
রাম লন্ডন থাকে। শ্যাম পূর্ণিয়াতে। যদু থাকে বাড়িতেই। পাড়ার পোষ্টাপিসেকিছু একটা করে। মধুটা উচ্ছন্নে গেছে। মোদো মাতালের সঙ্গে ওঠাবসা তার।বাড়ি আসে শুধুমাত্র পয়সা ফুরালে। বড়বোন হাসিরানী। বসবাস দক্ষিণের কি এক শহরে। ছেলেমেয়ে নেই। কবচ তাবিচ সব ফেল্ মেরে গেছে। হাসিরাশি ছোটো বোন । দুই ছেলে। অমল বিমল। তার বর বর্ধমানে স্কুলের মাষ্টার। দিন, মাস, সপ্তাহান্ত নয়, বছরেও একদিন তারা একে অন্যের কথা ভাবে কি ভাবেনা। যদিওবা ভাবে কোনো ঘুমচটা রাতে তবুও চিঠি বা ফোন বহুদিন বাকি পড়ে আছে। দশমীতে, পয়লা বৈশাখে চিঠি,ফোন আসে মাঝে সাঝে। এটুকুই যোগসূত্র তবু যখন সংবাদ মানে ‘বাবা নেই’, ‘হরিকাকা’ অথবা ‘দিদিমা’ –তখন রামের চোখে ভেসে ওঠে যদুর শৈশব। কিভাবে সেবার মাঠে পা মচ্কে গেলে হরিকাকা কোলে করে এনেছিল তাকে। যদু ভাবে রানীর বিয়েতে চুরি করে মিষ্টি খেয়ে মধুর অসুখ হলো । দিদিমা পথ্য রাঁধতো রোজ ভোরে উঠে ...
দূর গ্রামে
জ্বলে ওঠা চিতাটিকে কেন্দ্র করে ক্রমে লন্ডন-বিহার-অন্ধ্র–শুঁড়িখানা মিলেএকটি বৃত্ত তার
অন্তহীন পরিধি বলয়ে ডেকেনেয় রাম-শ্যাম-যদু-মধু-রানী ও রাশিকে –
চিতায় ঘুমন্ত জন শান্তি পায় না’কি ঐ বৃত্তটিকে ছুঁয়ে?
[ আমাদের শিক্ষক
শ্রী দিলীপ পাল চৌধুরি’র মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ...]
২২/১১/২০১২