প্রবেশিকা

**************************
আমি অত্র। আমি তত্র।
অন্যত্র অথবা –
আমার আরম্ভে আমি
নিশীথিনী, প্রভাতসম্ভবা।
**************************


[ পাঠক /পাঠিকার নিজস্ব বানানবিধি প্রযোজ্য ]

Tuesday, January 29, 2013

যাওয়া





যাওয়া


‘আমার এখানকার বাস উঠলো বাবু, আমি যাই –‘
মুখে বিড়ি। খাঁকি হাফ্‌প্যান্ট। ছোটো এক বোঁচকা হাতে নিয়ে সে চলে গেলো। চলে গেলো শ্লথপায়ে হেঁটে। চলেগেলো কোথায় কেজানে।পায়ে পায়ে মোড় অব্দি গিয়ে ফিরে এলো বেড়াল বাচ্চাটা যার ছবি তুলে দিতে সে আমাকে কখনো বলেছে।
ঐ বেড়ালছানা আর একটি সোজা সাপটা বৌ – এই নিয়ে তার দৈনন্দিনে মাঝে মাঝে বেজে উঠতো কিশোর আর রফির ম্যাজিক। এতদ্‌ভিন্ন তার অস্তিত্বের আর কোনো সংকট কিংবা সাফল্যের কথা আমার অজানা। খুকি ‘পুসি দেখাও’ বল্লেই খুকিকে নিয়ে হাজির হতাম তার দরজায় যা এখনো তেমনি নির্বিকারে খাড়া আছে আমাদের বহুতল ফ্ল্যাটের ওপারে।
দুটো কোঠা। সামান্য উঠান। অচেনা যুবক-গাছ। ডালে ডালে আলো আর বেড়ালের লাফালাফি খেলা –এই সবই পিছে রেখে সে কেমন চলেগেলো গলী পার হয়ে। সদর সড়কে গেলো শ্লথ পায়ে হেঁটে।
মাত্র দিন কয়েক আগেই আত্মহত্যার সেই অমোঘ মুহুর্ত্তে তার সাদামাটা বৌ’টি হয়ে উঠেছিল যতোদূর রহস্যময়ী আজ তার চলে যাওয়া ছাড়িয়ে গেলো ঐ দুর্ভেদ্য রহস্যরো সীমা যেভাবে সমুদ্র ছাড়িয়ে মাঝে মাঝে জেগে ওঠে ঝড় ও সুনামি।

ঘুম ঘর