‘শোলে’
রাত নেমেছে গাঁয়ের পথে, ঘরে
হঠাৎ দূরে খুরের শব্দ, কার?
গব্বর সিং ডাকু’র পায়ের সাড়া?
মশাল পোড়ায় নিঝুম অন্ধকার –
প্রতিশোধের আগুন খেলার নীচে
নিঝুম রাতে পাতার বাঁশি বাজে,
রাখাল সে নয়, তবুও তারি সুরে
দুঃখিনী এক রাজার মেয়ে সাজে –
‘ঘুমাও বাছা, ঘুমিয়ে পরো, চুপ!
নইলে ডাকাত গব্বর সিং এসে ...’
বলতে গিয়ে মায়ের মুখে ছায়া,
জান্লা দিয়ে তাকালো সন্ত্রাসে –
স্বপ্ন দেখে টাঙ্গাওয়ালী মেয়ে
ঘর হবে তার, শহরে, দূর দেশে—
‘লোক’টি মাতাল –এ’তো সবার জানা
তবুও তাকে ‘লোকটি’ ভালবাসে...
প্রতিশোধের আগুন নিভে গেলে
রিক্সা নেই, পায়ে হেঁটেই ফেরা,
রাত নেমেছে মফস্বলের পথে –
একলা ‘বীরু’ চিতায় আগুন জ্বেলে
যাচ্ছে দূরে, জানিনা কোন দেশে –
পড়ছে মনে সেই যে চেয়ে থাকা
দুঃখী মেয়ের, দূরের জান্লা থেকে
প্রদীপ গুলি নিভছে একে একে ...
...
রিক্সা নেই, পায়ে হেঁটেই ফেরা,
মা নাহলে বাবার কোলে চেপে
হাজার বছর পেরিয়ে এসে দেখি
আমার ছেলে তেমনি রাত জেগে
দেখছে ছবি প্রতিশোধের শেষে
বন্ধু থাকে, ভালোবাসাও, আর
অন্তবিহীন ডুব সাঁতারে আমি
চলেছি ফের তেপান্তরের পার ...
[ রমেশ সিপ্পি’কে’]