একটি বন্ধুত্বের গল্প
বন্ধু যেখানে থাকে তারো জন্ম সেখানেই, তবে
আজন্ম সে ভিটেছাড়া তাই
হয়নি কখনো জানাশোনা –
সে বছর দেশগ্রামে গেলে যখনি প্রথম দেখা
হলো
দুইটি বালক হাত ছুঁয়ে পলকেই বন্ধু হয়ে
গেল...
পরের গ্রীষ্মেও ফের দেশে গেলে নাওয়া খাওয়া
ভুলে
এই দুইবন্ধু মিলে গুপ্তধন খুঁজে ফিরলো
মাঠে মাঠে, পুকুরে, জঙ্গলে –
এ বছর গ্রীষ্মে আর ব্যস্ততায় দেশবাড়ি
যাওয়াই হলোনা...
তাই বুঝি সন্ধ্যাবেলা দূরদেশে বালক উতলা –
ফোন করলো কাঁপা কাঁপা স্বরেঃ ‘অর্ঘ্য আছে?
আমি ঋক্,
ওকে ডেকে দেবে?’
তারপর ব্যর্থ করে মানচিত্র, ব্যস্ততা ও
বিমান বন্দর
হাতে হাত রাখে তারা ফিরে পরস্পর ...
যে নিবিড় টানে তারা এইমাত্র সবুজ, সজল
তা’ই যেন অশ্রু হয়ে জানায় আমাকে
পাথুরে মৃত্তিকা ছিঁড়ে শিকড় নিয়ত খোঁজে
সান্তনার কাকচক্ষু জল ...
[ ঋক্ আর অর্ঘ্য’কে]